মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেকেরই অজানা নয়। দুই নেতা প্রায়ই একে অপরকে বন্ধু বলে পরিচয় দেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটনের মোদিকে স্বাগত জানানোর সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় আছে।’ কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের নেপথ্যে কী কারণ, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে। মোদি-ট্রাম্পের সম্পর্কের রসায়নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর।সেই অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথা টেনে আনেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি একজন অত্যন্ত শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী। আর ট্রাম্পও কিছুটা সেই ধরনের মনোভাবই প্রকাশ করেন। আমি মনে করি, অনেক দিন থেকেই জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে এ ভাবেই সম্মান করেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদিকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। সেই কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেয়ার পরেই অনেক রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই নাম ছিল মোদির।
একই সঙ্গে মার্কিন সফরে মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে হওয়া বৈঠক ইতিবাচক বলেও উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে ইতিবাচক রসায়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ট্রাম্প কিছুটা আনইউজুয়াল (অস্বাভাবিক) হওয়ায় বিশ্বে এমন অনেক নেতা আছেন যাদের সঙ্গে ট্রাম্পের ইতিবাচক সম্পর্ক নেই। কিন্তু মোদির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।
চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন সফরে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।
দুইনেতার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।