News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকরে পাল্টা ব্যবস্থা চীন-কানাডার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-03-04, 1:11pm

3434234-1329f9d4fec93c3a6b7292b74cc0b1881741072312.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রতিক্রিয়ায় চীন ও কানাডা পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়। খবর বিবিসির।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কানাডা ঘোষণা করেছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, যা ১৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেছেন, দেশটি প্রাথমিকভাবে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে এবং পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে বাকি ১২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যকেও টার্গেট করবে।

ট্রুডো স্পষ্ট করেছেন, কানাডায় যতদিন মার্কিন শুল্ক বহাল থাকবে, ততদিন তারাও পাল্টা শুল্ক চালু রাখবে।

অন্যদিকে, চীন জানিয়েছে, তারা মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির ওপর ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শুল্ক আরোপ করা অন্য মার্কিন পণ্যের মধ্যে রয়েছে মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা ও তুলা।

এ ছাড়া, সয়াবিন, শুকরের মাংস, গরুর মাংস, ফলমূল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই নতুন শুল্ক ১০ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ১০টি মার্কিন কোম্পানিকে তথাকথিত "অবিশ্বস্ত সংস্থা তালিকায়" এবং ১৫টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করেছে, যা আজ থেকেই কার্যকর হবে।

এদিকে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ২০ শতাংশ করেছেন। তার অভিযোগ, বেইজিং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে না।

ট্রাম্প আরও বলেন, আমদানি করের ফলে কানাডা ও মেক্সিকোকে অবৈধ মাদক ও অভিবাসন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হবে।

এ অবস্থায় মার্কিন শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে এবং সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কায় এশীয় বাজারগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে মার্কিন ভোক্তাদের কিছু পণ্যের জন্য বেশি মূল্য গুনতে হতে পারে।