ইরানে হামলার তথ্য যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই জানত কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ওয়াশিংটনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ‘বড় সংঘর্ষের শঙ্কা’ রয়েছে। এর পরই আজ শুক্রবার (১৩ জুন) হামলার ঘটনা ঘটল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সংঘর্ষ এড়াতে চান। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে, ততক্ষণ তারা যেন এমন পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাই। আমরা চুক্তির বেশ কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি যতক্ষণ মনে করি যে চুক্তির সুযোগ আছে, ততক্ষণ আমি চাই না ইসরায়েল আগ বাড়িয়ে ইরানে হামলা চালাক। এতে চুক্তিটা ভেস্তে যেতে পারে, আবার সহায়তাও হতে পারে—তবে এটা ঝুঁকিপূর্ণ।’ তিনি ইসরায়েলি হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানায়, ইসরায়েল ইরানে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা করছে হোয়াইট হাউস। ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।