News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

মাধ্যমিকের ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-05-07, 12:43pm

cbdcb419b83422b125394a7658e727a5b102e0a46e087861-098aa54f78fc9ff11394f982524acd6d1715064258.jpg




নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, ‘কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে ‘কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, ‘পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন। সময় সংবাদ।