News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

ঢাবি অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তে জটিলতার মুখে সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-01-29, 3:26pm

332423432dsd-06db8ed4c5e8dd504967030bc5cd10a21738142792.jpg




চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার ঘোষণায় বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হলেও ভর্তি পরীক্ষা কাদের অধীনে হবে, এখনও ঠিক হয়নি সে ব্যাপারটি। সাত কলেজ নিয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা জানিয়েছে সরকার। কিন্তু, আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে আইন, বিধি ও কাঠামো প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কবে নাগাদ হবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

আলোচিত সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনসংক্রান্ত কমিটি এখনো কোনো সুপারিশ করতে পারেনি। ঠিক হয়নি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখাও। সুপারিশ দিতে এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে এসব কলেজ এখন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলবে, তা স্পষ্ট নয়। অন্তর্বর্তী কোনো ব্যবস্থার ঘোষণাও আসেনি।

এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ঘোষণা দিয়েছে, এটা তার সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণা দেয়নি। এ বছর থেকেই আর শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না, এটির জন্য তিনি প্রস্তুতও ছিলেন না।

তিনি বলেন, আগের মতো তড়িঘড়ি একটি সিদ্ধান্ত দিলে ভবিষ্যতে অন্য রকমের ভোগান্তি হতে পারে। তাই নিয়মমাফিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতই জটিল পরিস্থিতি হোক না কেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত হবে সুবিবেচনাপ্রসূত এবং আইনসংগত সিদ্ধান্ত নেওয়া।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। আবার এখানে ইউজিসির ভূমিকা রাখার সুযোগও কম। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলে ১৯৭৩ সালের আদেশ অনুযায়ী।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রগুলো বলেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাছাড়া ১৯৭৩ সালের আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।

সাত কলেজে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (স্নাতক) চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ৬ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল। ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগামী এপ্রিলে।

সাত কলেজসংক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, এখনো আবেদন গ্রহণ চলছে। বুধবার এ নিয়ে একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সভায় যদি সিদ্ধান্ত হয় আবেদনসংক্রান্ত তথ্যাদি ও আবেদন ফি কলেজগুলোর অধ্যক্ষ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও কাছে দিতে হবে, তাহলে তা দিয়ে দেওয়া হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই তাড়াহুড়া করে এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও পরীক্ষা, মানসম্মত শিক্ষাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান পুরোপুরি হয়নি। ফলে বারবার আন্দোলনে নেমেছেন এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত সোমবার কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন না রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা নিয়ে গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বৈঠক করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি।

অবশ্য এই সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীসহ পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে এ বিষয়ে ইউজিসির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। এই বৈঠকে সাত কলেজের পরীক্ষাসংক্রান্ত সমস্যা ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ ও এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে মোট পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। আরটিভি