বিশ্বকাপে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে সঙ্গী হয়েছে একের পর এক পরাজয়। বড় দল তো বটেই, অপেক্ষাকৃত ছোট দল নেদারল্যান্ডের সঙ্গেও লজ্জার হার দেখেছে লাল-সবুজেরা।
প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে ওপেনিং। দলের অন্যতম আস্থার নাম ওপেনার লিটন দাস ব্যাট হাতে খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। বিশ্বমঞ্চে আশা-জাগানিয়া কিছু ইনিংস উপহার দিলেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি বাংলাদেশের। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে দেশের মানুষকে কিছু অন্তত ফিরিয়ে দিতে চান লিটন। কেননা, এই দুই ম্যাচের ওপরই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভাগ্য নির্ভর করছে। সেটাই মাথায় রেখেছেন ক্লাসিক এ ওপেনার।
সোমবার (৬ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসির কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন লিটন।
লিটনের ভাষ্য, মানুষ মনে করে আমি ঠাণ্ডা ছেলে। আমার মনে হয় না আমি ঠাণ্ডা ছেলে। আমার মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাব বা এমন সবকিছুই আছে। আমি আসলে জানি না (কেন বলে)।
লিটন যোগ করেন, আমি নিজেকে অনুপ্রেরণা যোগাই একটা খারাপ ম্যাচের পর, নতুন দিন হিসেবে নেই। যখন সূর্য উঠে আরেকবার, এটা নতুন দিন, নতুন সুযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জ। আমার সবসময় এমন মনে হয়। আমিও ছেলেদেরকে একই রকম মানসিকতা রাখতে বলি। যখন মাঠে যাবো, সবকিছুই আলাদা। আমাদের ক্ষুধাটা থাকতে হবে এরকম টুর্নামেন্টে খেলতে হলে। এটা আমি সবসময়ই বলি।
ক্লাসিক এ ওপেনারের মন্তব্য, যখন জিনিসগুলো আমার দিকে যাচ্ছে না, আমি একটা বিরতি নেই। অতিরিক্ত কিছু করি না। এটাই আমার ভাবনা। মাথায় খেলার চেষ্টা করি, বাড়তি অনুশীলন করি না। প্রতিটা দলেরই কোয়ালিটি বোলার আছে, তারা চ্যালেঞ্জিং। যখন আমি অনুশীলন করি, তখন ভাবি ম্যাচে এই ধরনের বোলারদের খেলতে হবে।
লিটনের ভাষ্যমতে, ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটাতেই আমরা ফোকাস করছি এবং নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে চাচ্ছি। আমরা নিজেদের ১০০ ভাগ ক্রিকেটটা খেলতে পারছি না এখন অবধি। প্রতিটা দিনই নতুন চ্যালেঞ্জ, আলাদা বোলার; আমার পরিকল্পনা আছে, সেটা এই উইকেটে কাজে লাগাতে পারলে সফল হবো।
টাইগার সমর্থকদের উদ্দেশে এ ওপেনারের মন্তব্য, সমর্থকরাই আমাদের শক্তি। আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। কারণ আমরা যেখানেই খেলতে যাই, তারা সমর্থন দেয়। আমাদের হাতে এখনও দুটি ম্যাচ আছে, আমরা তাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। আরটিভি নিউজ।