সিলেট টেস্টের প্রথমদিনে শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে গুঁটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর প্রথম দিনের শেষ ঘণ্টায় নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান করে টাইগাররা। ফলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে লাল-সবুজেরা।তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন খুব একটা ভালো কাটেনি শান্ত-লিটনদের। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এতে অস্বস্তি নিয়েই মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ১৩২ রান, লঙ্কানদের থেকে এখনও ১৪৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনে ৩ উইকেট হারানোর পর ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এই জুটিই শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় দিনের খেলা। তবে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি জয়। স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। কুমারার বলে ডি সিলভার মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৪৬ বলে খেলেন ১২ রানের এক ইনিংস।
জয় ফেরার পর তাইজুলের সঙ্গী হন শাহাদাত হোসেন দিপু। চাপের মুখে দিপুও দলীয় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে তাইজুলের সঙ্গে গড়েন ৩০ রানে জুটি।
দিপুর পর দ্রুত ফেরেন লিটনও। যদিও ক্রিজে এসে ভালোই শুরু করেছিলেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। কুমারার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তাইজুলের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন তাইজুল।
এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এরপর জবাব দিতে নেমে দিনের শেষ ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বোলিং তোপে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রানে লেগ-বিফোরে কাঁটা পড়েন ওপেনার জাকির হাসান। ১০ বলে ৫ রানে ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। জাকিরের মতোই লেগ-বিফোরের শিকার হন টাইগার এই অধিনায়ক। এরপর ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। সূত্র আরটিভি নিউজ।