চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। তবে স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেননি টাইগার বোলাররাও।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৩৮ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৫ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান ‘এ’ দল।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাটাররা বড় পুঁজি এনে দিতে না পারলেও বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে আঁটসাঁট বোলিং করেছে টাইগাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ‘এ’ দলের দুই উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে ৪২ রানের বেশি করতে দেয়নি।
এমনকি, পাওয়ার প্লে শেষেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে একশ ছোঁয়ার আগেই পাকিস্তান ‘এ’ দলের তিন উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ফলে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় পাকিস্তান ‘এ’ দল।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। আলি রেজার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
এছাড়া, তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। তিনি তামিমের পথেই হেঁটেছেন। নিজের উইকেট বিলিয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। মুবাশ্বির খানকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।
পরে তামিম-শান্ত ব্যর্থ হলেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তার ব্যাটে ভর করেই শুরুর পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে বাংলাদেশ।
তবে, সৌম্য ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। কপালের দোষেই সাজঘরে ফিরতে হলো এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে! রান আউটে কাটা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৩৫ রান।
পরে সৌম্যের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
তার বিদায়ের পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। এর মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মিরাজ সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ বলে ৪৪ রান। তবে মিডল অর্ডারে ব্যর্থ মুশফিক-জাকের আলিরা। তাতে দেড়শর আগেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
কিন্তু দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। তবে ১৫ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি রিশাদ। আর সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩০ রান। তাছাড়া নাসুম আহমেদ করেছেন ১৫ রান। শেষ সারির ব্যাটারদের সম্মিলিত চেষ্টায় কোনো রকমে দুইশ পেরিয়ে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
আরটিভি