‘শিরোপা জিততে যাচ্ছি’—চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিমানে ওঠার আগে এই কথা জানিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নামজুল হোসেন শান্ত। তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন দূরত্ব রয়েছে, তা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ভারতের কাছে ৬ উইকেটের হারের পর নিউজিল্যান্ডের কাছেও পরাস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের এই হারে কপাল পুড়েছে পাকিস্তানেরও। বাংলাদেশের মতো তারাও সেমিফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে পাকিস্তানও। আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। নিজেদের শেষ ম্যাচে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৭ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ২৩ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন উইল ইয়ং। ৪ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কেন উইলিয়ামস। তবে রাচিন রবিন্দ্রাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ডেভন কনওয়ে।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কনওয়ে। ৪৫ বলে ৩০ রান করে ফেরেন এই কিউই ওপেনার। এরপর টম লাথামকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন লাথাম। ৭৬ বলে ৫৫ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলেও ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন।
এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ১০৫ বলে ১১২ রানে রাচিন আউট হলেও ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত মিচেল ব্রাসওয়েলের ১১ রান এবং গ্লেন ফিলিপসের ২৮ বলের অপরাজিত ২১ রানে ভর করে ২৩ বল এবং ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেয় নাজমুল হোসেন শান্ত ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ২৪ বলে ২৪ রান করেন এই তরুণ ব্যাটার।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লে ৫৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ। ১৪ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমও। ৭ রান করে হৃদয় আউট হলেও ২ রান করে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। এতে দলীয় ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন শান্ত।
ভারত ম্যাচের একাদশে না থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এদিন ব্যর্থ হন। ১৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। তবে শান্তকে সঙ্গ দেন জাকের। তবে ১১০ বলে ৭৭ রান করে ক্যাচ আউট হন টাইগার অধিনায়ক। এরপর জাকেরকে সঙ্গে জুটি গড়ে ২৫ বলে ২৬ রান করেন রিশাদ।
দলের হাল ধরলেও ফিফটি তুলতে পারেননি জাকের। ৫৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। ২০ বলে ১০ রান করেন তাসকিন। এতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।আরটিভি