News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

জীবন হারানোর ভয় নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাথুরুসিংহে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-04-21, 8:52am

rewetret-180c9e04c5c357be647ffbdac2f35e561745203921.jpg




বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে দুই দফায় ৬ বছর কোচিং করিয়েছেন লঙ্কান কোচার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার অধীনে বাংলাদেশ দল অনেক সফলতাও পেয়েছে। তবে এই লঙ্কান কোচকেই কিনা নিজের জীবন বাঁচিয়ে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় হাথুরুর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘কোড স্পোর্টস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। যা প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

গত বছরের আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর দেশত্যাগ করেন সাবেক বিসিবি প্রধান পাপন। তখনই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। বরখাস্ত হয়ে যখন দেশত্যাগ করছিলেন এই লঙ্কান কোচ, তখন আতঙ্কের মধ্যে পড়েছিলেন বলে জানান হাথুরু।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহে বলেন, 'আমার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সিইওর শেষ কথা ছিল, আমার চলে যাওয়া উচিত। সে বলেছিল, ‘বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, আপনার কি টিকিট আছে?’ এটি আমার জন্য একটি সতর্কতা সংকেত ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই।'

নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, 'সাধারণত সেই দেশে বাইরে বের হলে আমার একজন ড্রাইভার এবং একজন গানম্যান সঙ্গে থাকতো। সে বলেছিল, ‘আজ কি আপনার গানম্যান ও ড্রাইভারকে এনেছেন?' আমি বললাম, না, 'শুধু ড্রাইভার আছে।'

তারপরই আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় হাথুরুসিংহের। বাংলাদেশের সাবেক কোচ বলেন, 'আমি সরাসরি ব্যাংকে গিয়েছিলাম, দেশ ছাড়ার টাকা তোলার চেষ্টা করছিলাম। আমি যখন ব্যাংকে ছিলাম তখন টিভিতে একটি ব্রেকিং নিউজ প্রচার হচ্ছিল; ‘চন্ডিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করার কারণে।'

ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার এগিয়ে আসেন, 'যখন এই খবর সামনে এলো, তখন ব্যাংক ম্যানেজার বললেন, ‘কোচ, আমাকে আপনার সঙ্গে যেতে হবে। রাস্তায় মানুষ আপনাকে দেখলে সেটা আপনার জন্য নিরাপদ নয়।'

বিমানবন্দরেও নিজেকে গোপন রেখেছিলেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘তখন আমি আতঙ্কিত, কারণ আমাকে দেশ থেকে বের হতে হবে। আমার এক বন্ধু আমাকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যরাতের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিল। আমি টুপি ও হুডি পরে ছিলাম। অনিরাপদ লাগছিল নিজেকে।'

ওই সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও অহরহ ঘটছিল, সেসব মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল হাথুরুসিংহের, ‘দেশ ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করার জন্য তারা আমাকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করতে পারতো। এমন একটি ঘটনাও ঘটেছে, যখন আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এবং বিমানটি রানওয়েতে থামানো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে নামিয়ে এনেছিল। এই সব আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন। তারপর প্রবেশপথের এক্স-রে মেশিনে যাচাই বাছাই শেষে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আমাকে বললেন, ‘আমি দুঃখিত কোচ, আপনি চলে যাচ্ছেন, আমি খুবই দুঃখিত (আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে)।’ আমি আমার জীবনের জন্য ভীত ছিলাম এবং তিনি বলছিলেন যে আমি তাদের দেশের জন্য কিছু করেছি।'