News update
  • CA for Armed Forces' efficient role to ensure smooth, festive polls     |     
  • Tarique Rahman calls for urgent disaster preparedness after quake     |     
  • UN Unveils UN80 Action Plan to Drive System-Wide Reforms     |     
  • Guterres Urges G20 to Show Leadership and Vision in SA     |     
  • Israeli Strikes Kill 33 in Gaza as Fragile Ceasefire Frays     |     

চরম নাটকীয়তার ম্যাচে সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-11-22, 6:16am

d9f45725b80f78fe9eccc3fbd823cf6d823d9ffba2624e52-926f27e14c1e5e7b564bd7b14761af911763770562.jpg




একের পর এক ক্যাচ মিস আর হাস্যকর ভুলে নির্ধারিত ওভারের খেলায় নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। সুযোগ পেয়ে ম্যাচ টাই করে নেয় ভারত। তবে লাল সবুজদের আক্ষেপে পুড়তে দেননি পেসার রিপন মণ্ডল। সুপার ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে দলকে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি। যদিও সেখানেও ছিল নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় পেলো লাল সবুজরাই।

কাতারের দোহায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের সেমিফাইনালে ভারত ‘এ’ দলকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ ‘এ’।

শিরোপার মঞ্চে পা রাখার মিশনে বাংলাদেশের সামনে ছিল বড় পুঁজি। তবে চারটির বেশি ক্যাচ মিস করে ভারতের রাস্তাটা সহজ করে দিয়েছিল ফিল্ডাররা। আর শেষ ওভারে তো ঘটে বড় নাটকীয়তা। শেষ ৬ বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। টাইগারদের হয়ে বল করতে আসেন রাকিবুল হাসান। ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান করা ভারতের হয়ে তখন ক্রিজে নেহাল ওয়াধেরা ও আশুতোষ শর্মা।

প্রথম দুই বলে দুটি সিঙ্গেল নেয়ার পর তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আশুতোষ। চতুর্থ বলে ফের স্ট্রেইটে তুলে মারেন এ ব্যাটার। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার জিসান আলমের হাতেই বল পড়েছিল। কিন্তু তিনি তালুবন্দি করতে পারেননি, উল্টো তার হাত ফস্কে বাউন্ডারি হয়ে যায়। শেষ দুই বলে দরকার পড়ে মাত্র ৪ রানের। সেখানে বাজিমাত করেন রাকিবুল। এ স্পিনারের ইয়র্কার লেংথের বলে বোল্ড হন আশুতোষ। শেষ বলে ব্যাটে ঠিকঠাক সংযোগ করতে ব্যর্থ হন হার্শ দুবে। ফিল্ডাল বল ছুড়ে মারার আগে দুইবার প্রান্ত বদল করেন দুই ব্যাটার। তবে ফিল্ডার থেকে পাওয়া বল স্টাম্পে লাগাতে গিয়ে মিস করেন আকবর আলী। সে সুযোগে আরও একটি রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে নেয় ভারত। অথচ আকবর হাতে রেখে বল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাংলাদেশ ১ রানের জয় নিশ্চিত করতো। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সেখানে লাল সবুজদের সব আক্ষেপ পুষিয়ে দেন পেসার রিপন মণ্ডল। ইয়র্কার ডেলিভারিতে প্রথম বলে বোল্ড করেন জিতেশ শর্মাকে। প্রায় একই লেংথের তার দ্বিতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে অফে ধরা পড়েন আশুতোষ। সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী ২ উইকেট পড়ায় বাকি ৪ বল আর খেলতে পারেনি ভারত। তাতে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১ রানের। সেখানেও হতাশা তৈরি করেন ইয়াসির আলী। সুযশ শর্মার প্রথম ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন আকবর আলী। তাকে অবশ্য কিছু করতে হয়নি। ওয়াইড ডেলিভারিতেই জয় উপহার দেয় ভারত।

এর আগে হাবিবুর রহমান সোহান ও এসএম মেহেরবের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৪৬ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারের মারে হাবিবুর ৬৫ রান করে আউট হন। ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেরব। এছাড়া জিসান আলম ১৪ বলে ২৬ আর ইয়াসির ৯ বলে ১৭ রান করেন। ভারতের পক্ষে ৩৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন গুরজাপনিত সিং।

রান তাড়ায় নেমে এদিন শুরুতে বাংলাদেশকে ভড়কে দিয়েছিল ভারতের দুই ওপেনার। ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে রিপন মণ্ডলের প্রথম ওভারে বৈভব সূর্যবংশী তুলে নেন ১৯ রান। পরের ওভারে এসএম মেহেরবকেও ২টি ছক্কা হাঁকান ১৪ বছর বয়সী এ ব্যাটার। তৃতীয় ওভারে ২ ছক্কা হাঁকান তার সঙ্গী প্রিয়াষ্ণ আরিয়া। তাতে মাত্র ৩ ওভারেই ৪৯ রান তুলে নেয় ভারত। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে গিয়ে সূর্যবংশীকে সাজঘরে ফেরান আব্দুল গাফফার সাইলাইন। ১৫ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩৮ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর কিছুটা লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে আবু হায়দার রনির শিকার হন নামান ধীর। তিনি ১২ বলে ৭ রান করেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতের হয়ে ক্রিজে আধিপত্য করে যান আরিয়া। দশম ওভারে তাকে সাজঘরের পথ দেখান রাকিবুল হাসান। ২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে থামে তার ইনিংস। তাতে ম্যাচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল লাল সবুজদের। তবে একের পর এক ক্যাচ মিসে তারা ভারতকে জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেয়। জীবন পেয়ে ২৩ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ৩৩ রান করেন জিতেশ শর্মা।  ২৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নেহাল। লাল সবুজ ফিল্ডারদের একাধিক ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টাই করে নেয় ভারত। যদিও সুপার ওভারে তারা আর কোনো সুবিধা করতে পারেনি।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ও পাকিস্তান শাহিন্সের মধ্যকার জয়ী দল আগামী ২৩ নভেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের মুখোমুখি হবে।