News update
  • As debate over the location of climate conference razes on, will COP fail this time too?     |     
  • UN Rights Office Warns of Gaza Escalation, West Bank Annexation     |     
  • UN Warns Wildfires and Climate Change Worsen Air Quality     |     
  • OIC Hails Belgian Declaration of Intent to Recognize Palestinian State      |     
  • Bomb blast kills 15 near political rally in Pakistan     |     

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-07-02, 9:13am




গত ২৪ ঘন্টায় তুলনামূলকভাবে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।

সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান উপ বিভাগ (বাপাউবো) কার্যালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বন্যার পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার সমপর্যায়ে নেমে এসেছে। 

সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১২.৭৫ মিটারে নেমে এসেছে, আগেরদিন সেটা ছিল ১৩.৫১ মিটারে, সেখানে বিপদসীমা হচ্ছে ১২.৭৫ মিটার। একই সময়ে সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে ১০.৮০ মিটার উচ্চতায়, আগেরদিন ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা ছিল ১০.৭৬ মিটার। সেখানে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১০.৮০ মিটার। 

সুরমা নদী ছাতক পয়েন্টে পানির লেভেল হচ্ছে ৮.১১ মিটার, আগেরদিন সেখানে ছিল ৯.১০ মিটার, ওখানে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ৮.১১ মিটার। সুরমা নদী সুনামগঞ্জ সদর পয়েন্টে পানির বর্তমান লেভেল হচ্ছে ৭.৮০ মিটার, আগেরদিন সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৭.৭৫ মিটার উচ্চতায়, ওখানে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ৭.৮০ মিটার। 

কুশিয়ারা নদী সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ অমলশিদ পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা হচ্ছে ১৫.৪০ মিটার, আগেরদিন সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৬.৩৯ মিটার উচ্চতায়, সেখানে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১৫.৪০ মিটার। 

সবমিলিয়ে পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা জানান, আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় ধীরে ধীরে লোকালয় ও রাস্তাঘাট থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে গত দুই ধরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায়  আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। পানি কমতে শুরু করায় জনমনে আবার স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বন্যার পানি ধীর গতিতে কমতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। টানা দুই সপ্তাহ পানিবন্দী থাকায় খাদ্য সংকট, পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসাসহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে বন্যার্ত এলাকায়। ডায়েরিয়া, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনী ও বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য সূত্র বাসস।