News update
  • Mirpur garment factory, chemical godown fire kills 9     |     
  • Garbage pile turns Companiganj Bazar into an unhygienic town     |     
  • Put 'old feuds' aside for a new era of harmony in ME: Trump     |     
  • Rivers are Bangladesh's lifeblood, Rizwana at UN Water Convention      |     
  • UN Releases $11 Million for Gaza Aid Amid Fragile Hope     |     

শহীদ আসাদ দিবস আজ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2023-01-20, 9:07am

resize-350x230x0x0-image-208093-1674159767-a210f0d8586e2cd47699f3e50612923f1674184039.jpg




শহীদ আসাদ দিবস শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনের দাবিতে মিছিল করার সময় ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এমএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শহীদ আসাদ ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবির পক্ষে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আসামিদের মুক্তির দাবিতে চলা আন্দোলনে আসাদের মৃত্যু পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে। যা পরবর্তী সময়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে তরান্বিত করে। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছাত্ররা দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ১৪৪ ধারা আইন জারি করেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে, ২০ জানুয়ারি দুপুরে ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে চাঁনখারপুল এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান। পুলিশ তাদের চাঁনখারপুলে বাধা দেয়। এসময় আসাদ ও তার সহযোগিরা স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে এগুতে শুরু করে। ওই অবস্থায় খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসার গুলি চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। আসাদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আসাদের মৃত্যুতে একত্রিত হয়ে হাজারও ছাত্র-জনতা ফের মিছিল বের করে এবং শহীদ মিনারের পাদদেশে জমায়েত হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ২২, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি সারাদেশে ধর্মঘট আহ্বান করে। ধর্মঘটের শেষ দিনে পুলিশ ফের গুলি চালায়।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৮ সালে শহীদ আসাদকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।

দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০ জানুয়ারি দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র সমাজের ১১-দফা দাবির মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ।

শহীদ আসাদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ একটি অমর নাম। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুল জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নামে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা জোগাবে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।

এদিকে, শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২০ জানুয়া) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশ করকে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। শহীদ আসাদ ও ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান করবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।