News update
  • Arab-Islamic summit over Israeli strike on Doha Monday     |     
  • NASA Rover Uncovers Strongest Hint of Ancient Life on Mars     |     
  • Eminent Lalon singer Farida Parveen passes away     |     
  • Dr Yunus mourns Farida Parveen's death     |     
  • From DUCSU to JUCSU, Shibir Extends Its Winning Streak     |     

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলি শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2023-01-21, 9:23am

resize-350x230x0x0-image-208249-1674257991-38393d65fb85f5cda0f4dfd054de67001674271432.jpg




চব্বিশ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রোহিঙ্গাদের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তের শূণ্যরেখায় থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সংঘর্ষ বন্ধ থাকার পর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশ্রস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফের গোলাগুলি শুরু হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় আরাকান সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করছেন এই ইউপি সদস্য।

তিনি বলেন, এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর আগে আরসা ও আএসও এর মধ্যে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সংঘটিত সংঘর্ষে ১ জন নিহত হন। এরপর স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডও হয়। সেসময় ক্ষতিগ্রস্তরা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, নতুন করে শুরু হওয়ার এ সংঘর্ষের বিষয়ে আমি পুরোপুরি অবগত নন। তবে আপাতত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। এ ছাড়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও সতর্ক রয়েছে বিজিবি।

রোমেন বলেন, সংঘর্ষের জায়গা শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক নিয়মমতে সরেজমিন পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। তাই সেখানে কি ঘটছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেউ যাতে নতুন করে বের হতে বা ঢুকতে না পারে সে জন্য নজরদারি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যাম্পের ভেতর গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।

৮ নং এপিবিএন এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, সীমান্তে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় ক্যাম্পের ভেতর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।