News update
  • 8 Islamic parties want referendum before polls, neutral admin     |     
  • Stocks sink on week’s last trading day; DSEX plunges 122 points     |     
  • Former Sramik Dal leader shot dead in Chattogram     |     
  • Trump Ends Historic US Shutdown After 43-Day Standoff     |     
  • Dhaka’s air quality ‘very unhealthy’ on Friday morning     |     

ড. ইউনূসের কথায় আক্ষেপ আর আক্ষেপ

গ্রীণওয়াচ ডেক্স খবর 2024-01-01, 6:49pm

images-18-27bf75dc05c10bdd2c89dedda862a9531704113396.jpeg




গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেছেন, শাস্তি আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল।

আক্ষেপ করে ড. ইউনূস বলেন, আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেলো। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে আমার কি রায় হয়, আমার কি অবস্থা দাঁড়াল, তা দেখার জন্য যে। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেলো।

সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

ড. ইউনূস বলেন, যে অপরাধ আমরা করিনি, তার শাস্তি পেলাম। যে রায় পেলাম। যে দোষ আমরা করিনি, সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। এটাকে যদি ন্যায়বিচার বলতে চান, বলেন।

এই দোষ কীভাবে আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বিচার পাব। সেটা আমাদের আইনজ্ঞ এখানে আছে তিনি ব্যাখ্যা করবেন। তবে আমাদের মনে দুঃখটা রয়ে গেলো, আজকে এই আনন্দের দিনে, আমরা এই আঘাতটা পেলাম।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন।

এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।

মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।

অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়।

আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।