News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

‘ছিনতাই হওয়া দেশ শেখ হাসিনা উদ্ধার করেছেন’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-05-18, 4:54am

67d2e3e47162131368b0bdb4c6ab341d671bb46e83cfa0d8-d5c450502a6fa0a0adbdbea34e1e36441715986467.jpg




মোটামুটি মধ্যবিত্ত হয়েও বাজারে গেলে বাজার করতে পারেন না, ওষুধ কিনতে পারেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার, অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “১৯৭২ সালের ৯ মে বঙ্গবন্ধু রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে বলেছিলেন: ‘আমি কী চাই?’ পাঁচবার বলেছিলেন, ‘আমি কী চাই?’ সামগ্রিকভাবে একটি কথাই বলেছিলেন। বাংলার মানুষ খেতে পারবে, পরতে পারবে, মুক্ত হাওয়ায় বসবাস করবে, প্রাণ খুলে হাসতে পারবে। আমি কি এখন হাসতে পারি! বাজারে গেলে বাজার করতে পারি না কেন? আমি তো মোটামুটি মধ্যবিত্ত, সামাজিক পরিচিতি আমার আছে। আমি ওষুধ কিনতে পারি না কেন? ওষুধের দাম কত ভাগ বেড়েছে? বাড়বেই?”

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর আমাদের অনেক কিছু হয়েছে, আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। বিশ্বদরবারে উন্নত মর্যাদার দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি আরও করতে চান। কারণ, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, তার ধমনিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত।’

এ অধ্যাপক বলেন, ‘আমি সপ্তাহে ৫ দিন আমার অফিসে যাই। মিরপুর-১২ নম্বরে সেনানিবাসে। যে পথ দিয়ে যাই–মাটিকাটা–সেখানে গেলে দেখবেন হারুন মোল্লা উড়াল সড়ক। আবার নিচ দিয়ে পথও আছে। দুটো কার (প্রাইভেট কার) একসঙ্গে ছেড়েছে। আমার প্রশ্ন হলো: নিচ দিয়ে যদি আমি যাই, আড়াই মিনিট কম সময় লাগে। ওপর দিয়ে গেলে আড়াই মিনিট সময় বেশি লাগে। এই অর্থ জনগণের অর্থ, কেন খরচ করা হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার হাতেই প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হয়েছে। আপনি উত্তর দিন।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ‘আপনি কিছুদিন আগে বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প আর অনুমোদন দেবেন না। তাহলে কি এতদিন আপনি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প অনুমোদন করেছেন! আপনি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে হাঁটছেন। তাহলে সেই বাংলাদেশে আমি কেন খেতে পারব না, বাজার করতে পারব না, ওষুধ কিনতে পারব না? মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের এই দেশ, ৩০ লাখ শহীদ, চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই দেশ। এই দেশ তো ছিনতাই হয়েছিল। আপনি (শেখ হাসিনা) এসে উদ্ধার করেছেন।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।

এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান। সময় সংবাদ।