News update
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     

জোর করে দেয়া হয়নি ৬ সমন্বয়কের বিবৃতি, সাক্ষাতের পর স্বজনরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-29, 2:51pm

tertertertre-2414146ef2d0a8285e7338a6c0f0bb6e1722243105.jpg

রোববার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের বিবৃতি জোর করে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করে তারা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

স্বজনরা বলেন, ছয় সমন্বয়ক স্বেচ্ছায় বিবৃতি দিয়েছেন। জোর করে বিবৃতি নেয়া হয়নি।

এর আগে, রোববার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ছয় সমন্বয়ক। এ ঘোষণা দিয়ে তারা লিখিত বার্তাও দেন।

বার্তায় বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে হতাহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’

তারা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা এরই মধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’

বার্তায় স্বাক্ষর করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।

এর আগে, রোববার বিকেলে ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ অন্যদের স্বজনরা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের পাশের রাস্তায় জড়ো হন। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থানের পরও ডিবি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে তারা কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন, ডিবি হেফাজতে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমন্বয়কারীর মুক্তিরও দাবি জানান তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদকে প্রথমবার ডিবি হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তার পরিবার।

তবে, এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, নিরাপত্তা দিতেই নাহিদ, সারজিস, আসিফ ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কোটা আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সহিংসতার পেছনের কারিগরদের খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গুজবে কান না দিয়ে পরিবারকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রেডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে শনিবার (২৭ জুলাই) সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। সময় সংবাদ