News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

কলেজ শিক্ষার্থী রাজন হত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-08-14, 3:49pm

retewtwr-3810951dc31a52de42f78fae39e329d31723628945.jpg




রাজধানীর কাফরুলে ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনের (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমল নিয়ে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত রাজনের ভাই রাজিব (৩২)। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কাফরুল থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজি মেজবাউল হক সাচ্ছু, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহম্মেদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি ও র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন আর রশিদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতা সালামত উল্লাহ সাগর ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সদস্য দীপংকর বাছার দীপ্ত। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও ৫০০ থেকে ৬০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার আবেদনে বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন ঢাকার কাফরুল থানাধীন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে আমার ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন উক্ত আন্দোলনে একমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে শরিক হন। সে সময় ছাত্রজনতার উক্ত গণ-আন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ১নং আসামি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ গত ১৪ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের “রাজাকরের বাচ্চা” বলে অভিহিত করেন। আসামি শেখ হাসিনার এহেন ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেশের সব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়। ১নং আসামি শেখ হাসিনার এই উসকানিমূলক এবং অপমানজনক বক্তব্যের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করেন।’

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় ২নং আসামি ওবায়দুল কাদের গত ১৫ জুলাই ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে “আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট” মর্মে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগ নামীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণহত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। এ ছাড়া আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খসরু চৌধুরীদের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আন্দোলনকারীদের নিষ্ঠুরভাবে দমনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন।’

অভিযোগ আরও বলা হয়, ‘আসামিদের অবৈধ ও বেআইনি দিকনির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর জন্য নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যদের ওপর নির্দেশনা প্রদান করেন আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তথা র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান।’

বাদী অভিযোগ করেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যার ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আসামির সরাসরি অংশগ্রহণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ নেতাকর্মীর সশস্ত্র অংশগ্রহণ, উপস্থিতি ও হামলায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর ১৯ জুলাই শুক্রবার হত্যার উদ্দেশ্যে নির্বিচারে গুলি চালালে আমার ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন মিরপুর-১০ গোলচত্বর সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তায় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। এদিন ফয়জুল ইসলাম রাজন ছাড়াও আরও অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এবং নিহত হন।’

অন্যদিকে, আজ বুধবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হলো। এনটিভি