দেশের শীর্ষ সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
কসমস গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ খান স্ত্রী, ভাই, অনেক আত্মীয় ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আমানুল্লাহ খান বাংলাদেশের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউটের একজন সদস্য ছিলেন। যিনি ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।’
তিনি ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা যা ১৯৮৮ সালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর সাথে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমানুল্লাহ খান কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। বইয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ঢাকা কুরিয়ার প্রকাশ করে।
নিজ পেশার পাশাপাশি আমানুল্লাহ খান জাতীয় দৈনিক এবং ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ সাংবাদিক সমিতির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
তিনি প্রধানত কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সি, এশিয়ানেট, ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট এবং এশিয়ান মিডিয়া ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের মতো প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত মিডিয়ার সাথে যুক্ত অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নেন।
এছাড়াও আমানুল্লাহ খান বিভিন্ন অ্যাডভোকেসি গ্রুপের একজন আগ্রহী সদস্য ছিলেন, যেমন আধুনিক (জাতীয় ধূমপান বিরোধী সংস্থা) এবং সন্ধ্যানী জাতীয় চক্ষুদান সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন।