বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের শরীরে মিলেছে শর্টগানের গুলির চিহ্ন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। আইনজীবী বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে এটি ছিল হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন তার সহপাঠীরা।
মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শর্টগানের গুলির আঘাতে আবু সাঈদের শরীরে অসংখ্য ছিদ্র তৈরি হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আবু সাঈদের। এছাড়া, তার মাথার মধ্যভাগ থেকে পশ্চাৎ ভাগ পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘মাথার আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। সবকিছু মিলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে, এটি হত্যাকাণ্ড। ফলে এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড়া পাবে না। ’
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন আবু সাঈদের সহপাঠীরা। তারা বলছেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দায়ী। আমাদের চাওয়া, সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন দমাতে অনেকটা পরিকল্পিতভাবে খুব কাছে থেকে নিরস্ত্র আবু সাঈদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদের। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।