News update
  • NCC for referendum, after July Charter order promulgation     |     
  • World Enters New Era of Climate Action, Urgent Steps Needed     |     
  • Israel Accused of Four Genocidal Acts in Gaza, UN Told     |     
  • BNP rejects Consensus Commission’s call for pre-poll referendum     |     
  • At Least 64 Killed in Deadly Rio Drug Gang Raids     |     

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও ২৫২ এসআই বহিষ্কার প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-10-29, 12:31pm

retertert-4c4d5d9b3c31062bab32d04cdfd41a3d1730183505.jpg




বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে এমনই জবাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এ পদক্ষেপের পাশাপাশি সম্প্রতি ২৫২ জন ক্যাডেট এসআইকে বহিষ্কারের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ম্যাথিউ মিলারের কাছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখে? বাংলাদেশে ন্যায্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র?

এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, আমাদের বিশ্বাস এটিই এবং আমরা এই মঞ্চ থেকে তা বহুবার স্পষ্ট করেছি।

এরপর মিলারের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, বাংলাদেশে ২৫২ জন ট্রেইনি পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে যত হিন্দু ট্রেইনি এসআই ছিলেন, তাদের সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কি না।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমি এই বিষয়ক প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে, আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করবো।

তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগের অনুশীলন সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে?

মিলার বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি আগে যা বলেছি, তার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নতুন কিছু নেই।

এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্রশ্নকর্তাকে বলেন, আপনি আমাকে এমন একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে অনুমানমূলক ‍উত্তর দিতে বলছেন, যা আমি দেখিনি। আমি এমনটা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি।

এরপর প্রশ্নকারী জানতে চান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা, আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ছাড়াও এনএসসি ও গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পর্ক কীভাবে পুনর্মূল্যায়ন করছে, সে সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনো তথ্য আছে?

মিলার জবাব দেন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আরটিভি