News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণ দেখছি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-03-05, 7:28am

tewrewre-b26bf972527b8bd4b7722c89e6fe81971741138102.jpg




বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যকে অসত্য বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের এমন বিবৃতির কারণে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ট্রাম্পের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় না। বিষয়টা হলো প্রেসিডেন্ট শুধু এটা বলেছেন, কোনো বিস্তারিত দেননি বা প্রশ্ন করেননি। 

তিনি বলেন, আমরাও দেখেছি যে, আসলে এ রকম কোনো কিছু নেই। কাজেই এটা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এ ধরনের বক্তব্যে সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতদের ডাকা হয়। তাহলে কেন ঢাকাস্থ দেশটির দূতকে ডাকা হবে না, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য বলে মনে করি না। একটা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা দেখেছি যে এটার এমন কোনো ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। 

তিনি বলেন, ট্রাম্প স্পষ্ট করে একটা কথাও বলেননি, বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। দুই ব্যক্তি বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন আমরা জানি না। কাজেই এটা নিয়ে তারপরে আর কোনো বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন মনে করি না।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের যে কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তা সঠিক নয়। এ‌টি মিথ্যা অভিযোগ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন; যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে। 

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের প্রেক্ষিতে বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে ইউএসএআইডি।

২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং ধাপে ধাপে এর অর্থ আসে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি ও বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি ও অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি এবং যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা কমিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়ানো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টি, দলগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ দেওয়া। প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে ডিআই।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি শক্তভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়। 

অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা শুরু করে। ফলে এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে দেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। 

আসলে এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কিছু করার এখতিয়ার থাকে না। আরটিভি