বৈষম্য আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নাম জুলাই। যার শুরুটা অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে হলেও শেষটা হয় স্বৈরাচারের পতনের মধ্যদিয়ে।
রক্তাক্ত জুলাইয়ের প্রতিটি দিনই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ৯ জুলাইও সারা দিন কাটে টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে। এদিন সময় বাড়িয়ে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ব্লকেডের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। যা পালিত হয় পরদিন ১০ জুলাই। এ জন্য অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচারণা চালান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা। করা হয় লিফলেট বিতরণ।
শুধু রাজপথেই নয়; এদিন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী। যদিও দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ ছাড়া এদিন চার ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকাসহ সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
পরের দিনের কর্মসূচি ঘোষণা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামেনি। এই ইস্যুতে সরকার নিশ্চুপ থাকার কারণে এ ধরনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে আন্দোলনকারীরা।
তৎকালীন সরকারের আইনমন্ত্রী জানান, ঘটনা ঘটছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে এটার নিরসন হবে না। সে সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেলও আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেয়ার চেষ্টা করেন।