গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বুকের ব্যাথায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিয়েছিলেন রিজওয়ান। ম্যাচের জন্য দ্রুত সেরে ওঠার জন্য নিষিদ্ধ ইনজেকশন নিয়েছিলেন রিজওয়ান। তবে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমতি নিয়েই ইনজেকশন নিয়েছিলেন রিজওয়ান।
বিশ^কাপের ছয় মাস পর রিজওয়ানের ইনজেকশন নেয়ার ঘটনা ফাঁস করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নাজিব সোমরো।
পিসিবির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডকৃত এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিজওয়ানের সাথে আলাপ করছেন সোমরো। সেই আলাপকালে বিশ^কাপের স্মৃতি রোমন্থন করেন সোমরো।
রিজওয়ানকে উদ্দেশ্য করে সোমরো বলেন, ‘তুমি শ্বাস নিতে পারছিলেন না এবং তোমাকে সুস্থ করতে ইনজেকশন দিতে আইসিসি থেকে অনুমতি নিতে হয়েছিলো আমাকে। এটা সাধারণত ক্রীড়াবিদদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু কোন বিকল্প ছিল না। ইনজেকশন দিতে আইসিসির সম্মতি নিতে হয়েছিল আমাকে।’
গত ৩ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে হাসপাতালে ছিলেন রিজওয়ান। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পরের দিন সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছিলেন রিজওয়ান। তবে ঐ ম্যাচ ৫ উইকেটে হেরে বিশ^কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিলো পাকিস্তান।
সেমিফাইনাল থেকে দল বিদায় নিলেও, পুরো আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন রিজওয়ান। ৬ ম্যাচে ৩ হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮১ রান করেছিলেন তিনি। টুর্নামন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন রিজওয়ান। তথ্য সূত্র বাসস।