News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান সম্মেলনের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাবে ইউক্রেন, চীন ও বাণিজ্য

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-10, 7:39am

03190000-0aff-0242-7c30-08da30358894_w408_r1_s-91122f8f2d4da9b921f6f6eac409c08d1652146773.jpg




প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের নেতাদের সঙ্গে আগামী ১২ ও ১৩ মে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে বাণিজ্য সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন—এই তিনটি বিষয় প্রাধান্য পাবে।

দশ আসিয়ান নেতার মধ্যে আটজনই যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। অনুপস্থিত থাকছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে—তিনি এই জুনে বিদায় নেবেন। এর বাইরেও অনুপস্থিত থাকছেন মিয়ানমারের জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং। নজিরবিহীন সমালোচনার মাধ্যমে তাকে আসিয়ান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউজ এই শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তাারিত কিছু জানায়নি। তারা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র আসিয়ানের প্রতি “দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গিকারের” নিদর্শন দেখাবে।

সম্মেলনে যে বিষয়গুলোর দিকে নজর থাকবে:

ইউক্রেন

ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন ইউক্রেন ইস্যুকে ব্যবহার করে ইউরোপের বাইরেও মস্কোবিরোধী ঐক্য স¤প্রসারণে কাজ করবেন।

এখন দেখার বিষয়, ওয়াশিংটন আসিয়ান নেতাদের মস্কো থেকে অস্ত্র ক্রয় হ্রাস বা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয় কি না।

বাণিজ্য সম্পর্ক

এবারকার শীর্ষ সম্মেলন বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার বিষয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে। অক্টোবর থেকে কমপ্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ (সিএসপি) ফ্রেমওয়ার্কের অংশ হিসেবে আসিয়ান এটিই চাইছিল। ইতোমধ্যেই চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আসিয়ানের একটি সিএসপি রয়েছে।

এদিকে এই অঞ্চলে বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্যের বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। আসিয়ান কানাডার সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে এবং এই জোটের কয়েকটি সদস্য এর মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি) এবং দ্য রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তিতে যোগদান করেছে।

ওয়াশিংটন আরসিইপির অংশ নয়। আরইসিপি হলো বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। চীনও এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে। বেইজিং সিপিটিপিপির সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছে। ওবামা ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ থেকে উদ্ভুত এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যোগ দিতে সচেষ্ট থাকলেও, ট্রাম্প সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন।

যুক্তরাষ্ট্র আরও একটি ক্ষেত্রে চীনের থেকে পিছিয়ে আছে। সেটি হলো অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ। বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচির বিপরীতে গৃহীত বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড আদতে পিছিয়ে পড়েছে।

চীনের হুমকি

চীন সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়, আসিয়ান দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেতে চাইছে। নেটো এবং ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহায়তা ব্যয় বাড়ছে।তারা চায় এতে করে যেন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহায়তা হ্রাস করা না হয়।

ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনের আচরণের জন্য—বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোতে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নিন্দা জ্ঞাপন করবে।

মহামারি থেকে উত্তরণ

নভেম্বরে গ্রুপ অফ ২০ বা জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক এবং পরের সপ্তাহে দ্বিতীয় ভার্চ্যুয়াল বৈশ্বিক কোভিড-১৯ সম্মেলনের সহ-আয়োজক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া বৈশ্বিক মহামারি থেকে উত্তরণে একই সঙ্গে জোরদার এবং সমতাভিত্তিক সুযোগের দাবি তুলবে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে—ভ্যাকসিন, কোভিড পরীক্ষা এবং প্রতিষেধক প্রাপ্তিতে সবার সমান সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আসিয়ান এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে ১৯০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। তথ্য সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।