ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোল্টেনবার্গ আভাস দিয়েছেন যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সামরিক জোটটিতে যোগদানের পদক্ষেপ নেয়ার পর এর ৩০টি সদস্য রাষ্ট্রের সবগুলোর কাছ থেকেই অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্টোল্টেনবার্গ আরও বলেন, তিনি এই দু’দেশের জন্য অনুসমর্থন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে চান।
রবিবার জার্মানির বার্লিনে ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাদের দুই দিনের বৈঠক শেষ করেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মাঝে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের পশ্চিমা জোটটিতে যোগদানের অভিপ্রায় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
স্টোল্টেনবার্গ পরে সাংবাদিকদের বলেন যে যদি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন আবেদন করে এবং ন্যাটোতে যোগ দেয়, তাহলে এটি হবে ইউরোপের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
তিনি আরও বলেন, এটি এই দুই দেশ এবং ন্যাটোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুরো অঞ্চল জুড়ে স্থিতিশীলতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
তবে, এই দুই নরডিক দেশের জোটটিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুরস্ক নিজেদের আপত্তি প্রকাশ করেছে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের বলেন যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে এটি জোটটির একটি বাধ্যবাধকতা। তিনি মূলত কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি দেশগুলোর সমর্থনের দিকে ইঙ্গিত করেন যেগুলোকে তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
স্টোল্টেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, তুরস্ক অবশ্য এটি স্পষ্ট করেছে যে তাদের উদ্দেশ্য কারো সদস্যপদ আটকানো নয়।
স্টোল্টেনবার্গ আরও বলেন যে ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদনের প্রস্তুতি নেয়াকালীন জোটটি ন্যাটো ভূখণ্ড বরাবর সীমান্ত অঞ্চলগুলোর আশেপাশে রাশিয়ার আচরণ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।