News update
  • UN Calls for Calm in Bangladesh After Protest Leader’s Killing     |     
  • DMP issues 7 traffic directives for Osman Hadi’s Janaza     |     
  • Vested quarter fuelling chaos to impose new fascism: Fakhrul     |     
  • Hadi’s namaz-e-janaza at 2:30pm Saturday     |     
  • Jashore’s Gadkhali blooms with hope; flowers may fetch Tk4 bn      |     

"দেশে চালের অভাব নেই, কৃত্রিম সংকট করবেন না"

চাল ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2023-03-21, 5:29pm

img_20230321_154447-d2a2c6ed3796672daaa53e65efc04eee1679398193.jpg




খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের কোন অভাব নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়। কেউ কৃত্রিম সংকট করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে বাজারের সরবরাহ ও দাম মনিটরিং করে। শুধু রমজান মাসেই নয় এ মনিটরিং সারা বছর চলে এবং চলবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এদেশে ধান চালের ব্যবসা করতে পারবেনা। এটা করতে হলে তার ফুড গ্রেইন লাইসেন্স থাকতে হবে। আড়তদারদেরও এ লাইসেন্স থাকতে হবে। এটা নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে। পনের দিন পর পর কতটুকু তিনি ক্রয় করেছেন, কতটুকু বিক্রয় করেছেন তার রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যখন ব্যাবসায়ীদের সাথে মিটিং করা হয় তখন চালের দাম কমে। তারপর আবার বাড়ে। বাড়ার সময় ৫ টাকা বাড়লেও কমার সময় সেভাবে কমে না। ব্যবসায়ীরা এক টাকা কমিয়ে বলে চালের দাম কমেছে। চাল ব্যবসায়ীদের এ প্রবনতা ত্যাগ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দূর্ভিক্ষ হতে পারে, বিশ্ব ব্যাংকের এমন ঘোষণার পর অনেকেই অনায্যভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন, মজুত করেছেন। সেটা নিয়ন্ত্রণে ওএমএস বাজারে ছাড়তে হয়েছে। সরকার আমদানি করেছিলো বলে বিতরণ করতে পেরেছে।

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি।এক সময়ের মঙ্গা পিড়ীত এলাকা এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত। অনেকেই প্রশ্ন করেন উদ্বৃত্ত হলে আমদানি করেন কেন? আমদানির পথ খোলা থাকলে অবৈধ মজুতকারীরা কারসাজী করতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার ও ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোধ বরণ সাহা চন্দন বলেন, ধান চালের সাথে সম্পৃক্ত নন এমন লোকেরা অবৈধ মজুত গড়ে তোলে। তাদের অতি মুনাফা লাভের আশা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এসময় তিনি বলেন, চাল আমদানির কোন প্রয়োজন নেই। দেশে যে ধান উৎপাদন হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় উদ্বৃত্ত। 

চাল ব্যাবসায়ী কে এম লায়েক আলী বলেন, সরকারি ধান চাল সংগ্রহকালে দাম নির্ধারণ করে দিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যৌক্তিক দাম নির্ধারণ না করায় সরকারি গুদামে লস দিয়ে চাল দিতে হয়।

বাবু বাজার পাইকারি চাল ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের বাজার ডিমান্ড ও সাপ্লাই এর ওপর নির্ভর করে। আমদানি চালু থাকলে বাজার ঠিক থাকে। ধানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারলে চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সরকার মিল মালিকদের কথা চিন্তা করেনা। ঢালাওভাবে চাল আমদানির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, চাল আমদানির ফলে দেশের হাজার হাজার চালের মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ মিল চালু করার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চালের বাজার বাড়ার সম্ভাবনা নেই, স্থিতিশীল থাকবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন,নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ পাইকারী ও খুচরা চাল চাল ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।