News update
  • Myanmar Faces War, Disasters, Hunger, and Mass Displacement     |     
  • UN Warns Israeli Doha Strike Risks Regional Escalation     |     
  • Nepal protesters' families seek justice amid confusion     |     
  • Next polls in Feb "foundational” to set future course of BD     |     
  • Fuel oil crisis hits 5 N districts as Rangpur depots run dry     |     

ঝাঁজ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ, আলুতে বেড়েছে ৪ টাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-06-21, 1:16pm

jedashdashk-988aec7ba6bf604f4925042f9a7d39c71718954209.jpg




নানা অজুহাতে ঢাকার বাজারে বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের দাম। এবার কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে দাম কমেছে মুরগির ডিম ও রসুনের। এ ছাড়া বেশির ভাগ সবজি ও মাছের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের বন্ধ থাকায় মানুষ বাড়ি গেছেন। যে কারণে রাজধানীর বাজারে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তবেপণ্য সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে দাম কমবে। আজ রাজধানীর মালিবাগ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে সরবরাহ কম, পাইকারি বাজারেই আমাদের অতিরিক্ত বাড়তি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে। গতকাল বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। যেখানে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে।

বিক্রেতারা আরও জানান, ঈদের সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তায় যানজট, যে কারণে পরিবহন খরচ বেশি। এজন্য ঢাকায় কাঁচা মরিচ তুলনামূলক কম আসছে। এ ছাড়া মৌসুমের শেষ, খেতে একেবারে শেষ সময় চলছে মরিচের। অনেক খেতের মরিচ শেষ হয়ে গেছে, নতুন করে লাগানো গাছে এখনো মরিচ আসতে শুরু করেনি। এসব কারণে পাইকারি বাজারেই কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের সময় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকে। এ ছাড়া বৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে সরবরাহ খরচ বেড়েছে। তাই মরিচের দাম বাড়তি।

অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল। খুচরা পর্যায়ে ছিল ৯০ টাকা। তবে গতকাল পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০-৮৫ টাকা।

এদিকে ঈদের আগপর্যন্ত বাজারে আলুর কেজি ছিল ৬০ টাকা। গতকাল পাইকারিতে আলুর কেজিপ্রতি চার টাকা দাম বেড়েছে। অর্থাৎ আলু এখন ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তবে ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা বিক্রি হয়। গতকাল বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৯০-২১০ টাকা। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে রসুনের দাম কমেছে, তবে বেড়েছে শসা ও টমেটোর দাম। দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের রসুনে কেজিতে ১০-২০ টাকা দাম কমেছে। শসা ও টমেটোর কেজিতে ২০-৪০ টাকা দাম বেড়েছে। মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আরটিভি