News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

হঠাৎ এলাচের বাজারে অস্থিরতা কেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-12-21, 7:49am

d96b5e440ea600eabc6840bfe34b24663cac11b9e93a7878-e217cb5e8b2c89d4048a058855dfb1ec1734745794.jpg




সাধারণত কোরবানির আগে মসলার দাম বেশি বাড়লেও এবার রমজানের অনেক আগেই চড়ে গেছে বাজার। এক মাসের ব্যবধানে এলাচের কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা।

সবজি, ডিম ও ভোজ্যতেলের পর এবার লাগামহীন দেশের মসলার বাজার। দাম বেড়ে গেছে এলাচ ছাড়াও লবঙ্গ, কাজু ও কাঠবাদাম এবং কালোজিরার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এলাচের।

বাজারের পাশাপাশি এলাচের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেও। সবশেষ তথ্য বলছে, গত এক মাস ও এক বছরের ব্যবধানে এলাচের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১.৯৬ ও ৮৫.৭১ শতাংশ। এছাড়া, এক মাসের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৩.৪৫ শতাংশ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। এটি গত মাসেও মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। আর মানভেদে প্রতি কেজি বড় এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়; যা গত মাসেও ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা।

এদিকে, এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে মানভেদে প্রতিকেজি কাজুবাদাম ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা ও কেজিতে ৮০-১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঠবাদাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ৫০-৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কালোজিরা ৪০০-৪৫০ টাকা ও কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৪৫০ টাকায়।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য মসলার দাম। বাজারে দারুচিনি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৮০০ থেকে ১০০০ ও তেজপাতা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর শুকনো মরিচ মানভেদে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, হলুদ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঁচফোড়ন ২০০ থেকে ২৮০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে মসলার চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এলাচ আমদানি করতে হয় গুয়েতেমালা ও ভারত থেকে। চলতি বছর দেশ দুটিতে এলাচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেই দাম বেড়েছে পণ্যটির। 

রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় ও এলসি জটিলতায় গত কয়েক মাসে কমেছে মসলা আমদানির পরিমাণ। এতে এলাচসহ বেশকিছু মসলার দাম বেড়েছে। সংকট না কাটলে বাজার আরও অস্থির হতে পারে।

আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রাকিব বলেন,কেজিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে এলাচের দাম। মূলত বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও দেশের বিগত কয়েক মাসের চলা অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে পণ্যটির বাজারে।

বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ সময় সংবাদকে বলেন, বিশ্ববাজারে এলাচের দাম বাড়ায় দেশেও বাড়ছে দাম। কারণ এলাচ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর অন্য বছরের তুলনায় এবার মসলার উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে এলাচ ছাড়াও অন্যান্য মসলার দাম বেড়েছে। তাছাড়া মসলা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক অনেক বেশি। সময়।