News update
  • Garbage pile turns Companiganj Bazar into an unhygienic town     |     
  • Put 'old feuds' aside for a new era of harmony in ME: Trump     |     
  • Rivers are Bangladesh's lifeblood, Rizwana at UN Water Convention      |     
  • UN Releases $11 Million for Gaza Aid Amid Fragile Hope     |     
  • Global ‘Food Heroes’ Driving Change From Farm to Table     |     

ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলনে আবেগাপ্লুত বাইডেন, ধন্যবাদ দিতে হঠাৎ মঞ্চে কমালা হ্যারিস

গনতন্ত্র 2024-08-20, 3:24pm

hrerteryertwt-fc5f75d90353752f5bee7f71fce0ed731724145851.jpg




আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলন।

সোমবার রাতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বেশ কয়েক হাজার আমন্ত্রিত অতিথিও অংশ নিয়েছেন।

চারদিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথমদিন শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে সপরিবারে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দলের জাতীয় এই সম্মেলনে শেষবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন তিনি।

মি. বাইডেন যখন মঞ্চে উঠছিলেন, তখন দর্শক সারির সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান দেখান।

একইসঙ্গে, উপস্থিত নেতাকর্মীার সমস্বরে বলে ওঠেন “ধন্যবাদ জো”।

এ ঘটনার পর মি. বাইডেন বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আবেগে কেঁদেও ফেলেন।

নিজেকে সামলে নিয়ে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কঠিন সময় শেষ হয়েছে, এখন ভালো সময়।”

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি।

“আমেরিকা, আমি আমার সর্বোচ্চটা তোমাকে দিয়েছি," বলেন প্রেসিডেন্ট মি. বাইডেন।

একইসঙ্গে, গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

“গণতন্ত্রকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আমরা আমেরিকার আত্মাকে রক্ষা করার জন্য লড়ছি,” বলেন মি. বাইডেন।

প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে দলের জাতীয় সম্মেলনে এটাই তার শেষ ভাষণ। ফলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে হঠাৎ সরে যাওয়া মি. বাইডেন ভাষণে কী বলেন, সেদিকেই নজর ছিল সবার।

মি. বাইডেন মঞ্চে ওঠার আগে আকস্মিকভাবে সেখানে হাজির হয়ে নজর কাড়েন আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস।

প্রেসিডেন্ট মি. বাইডেনকে ধন্যবাদ দিতেই হঠাৎ এই আগমন বলে জানান তিনি।

“জো, আপনার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ,” বলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিজ হ্যারিস।

আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল জো বাইডেনের।

কিন্তু গত জুনের শেষের দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেলিভিশন বিতর্কে কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি।

এরপর ভোটার জরিপে মি. বাইডেনকে বেশ পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়। ফলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হওয়ার জন্য নিজ দলের ভেতরেই চাপে পড়েন তিনি এবং একপর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে আসেন।

এমন পরিস্থিতিতে এক মাসেরও কম সময় আগে নির্বাচনি দৌড়ে যোগ দেন কমালা হ্যারিস।

 ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমালা হ্যারিস

এবারের সম্মেলনে তার পক্ষেই ভোট চাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।

বৃহস্পতিবার সম্মেলনের শেষ দিনে তিনি মঞ্চে উঠবেন বলে শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু প্রথমদিনেই হুট করে হাজির হওয়ায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বেশ অবাক হন।

হাজার হাজার নেতাকর্মী উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে মিজ হ্যারিসকে সম্মেলনে স্বাগত জানান। সেই সঙ্গে স্লোগান চলতে থাকে: “যখন আমরা লড়াই করি, আমরা জিতে যাই।”

অল্প সময় মঞ্চে অবস্থানকালে মিজ হ্যারিস প্রেসিডেন্ট মি. বাইডেনকে ধন্যবাদ দেওয়ার বাইরে তেমন কিছু বলেননি।

রীতি অনুযায়ী, সম্মেলনের শেষদিনে তিনি আবারও মঞ্চে উঠবেন বলে জানা যাচ্ছে। সেদিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষণ দিবেন তিনি।

হিলারি ক্লিনটন যা বললেন

মিজ হ্যারিস চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে মঞ্চে হাজির হন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আরেক প্রভাবশালী নেতা হিলারি ক্লিনটন।

তিনি যখন মঞ্চে উঠছিলেন, তখন দর্শক সারি থেকে “হিলারি, হিলারি” আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।

কমালা হ্যারিসের মতো তিনিও ভাষণ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মি. বাইডেন হোয়াইট হাউসের মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন বলেও মন্তব্য করেন মিজ ক্লিনটন।

“আজীবন আপনি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানুষের পাশে থেকেছেন, সেটার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জো বাইডেন,” বলেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিজ ক্লিনটন।

একইসঙ্গে, মিজ হ্যারিসকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

“তিনি (মিজ হ্যারিস) প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন। তার দৃঢ় সংকল্প আমাকে এবং আরও লাখ লাখ মানুষকে আরও বড় স্বপ্ন দেখার সাহস যোগায়,” নিজের ভাষণে বলেন হিলারি ক্লিনটন।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মিজ ক্লিনটন। কিন্তু সেবার তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।

কাজেই এবারের নির্বাচনে জিতলে কমালা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়বেন।

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

সোমবার সম্মেলন চলাকালে আশেপাশের এলাকায় প্রায় দেড় হাজার মানুষকে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

সম্মেলন শুরুর আগ থেকেই তারা বিভিন্ন স্থানে সমবেত হতে থাকেন।

গাজাযুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ শেষে পদযাত্রাও করেন তারা।

ইসরায়েলকে সাহায্য করা বন্ধের পাশাপাশি গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।

একইসঙ্গে, ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় সম্মেলন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সম্মেলনের শেষ দিনেও বড় বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকমাস ধরেই বিক্ষোভ হতে দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ওই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে কিছু কিছু স্থানে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে।

কয়েক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে তাদের।

এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিবিসি বাংলা