News update
  • Titas drive severes illegal gas connections in Fatulla     |     
  • Trump has sweeping plans for a 2nd term. His proposals     |     
  • CA Dr Yunus to visit infamous detention centre 'Aynaghar'     |     
  • Martyrs Mugdho, Faiyaaz’s belongings given to DU to preserve     |     
  • Nuke Plant: Russian envoy hopeful of loan settlement issues     |     

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কি মতবিরোধ বাড়ছে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-08-20, 3:28pm

trytyerter-6c7eed62b7bf9cf855e043295e2038ac1724146106.jpg




বাংলাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নিজেদের দাবি আদায়ে সংগঠনটির ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু সরকার পতনের পর যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানান অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৩ জন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বেশ কিছু জায়গা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, যেসব দাবি সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেগুলো পূরণ হওয়ায় সংগঠনটির আর কোনো প্রয়োজন নেই বলে বলে মনে করছেন নেতাদের কেউ কেউ।

তাহলে কি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ক্রমেই মতবিরোধ বাড়ছে?

যেভাবে এল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বহালের বিষয়ে গত পাঁচই জুন একটি রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ ঘটনার পর কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুরুর দিকে যে যার মতো করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পালন করলেও পরবর্তীতে সারা দেশে সমন্বিতভাবে আন্দোলন পরিচালনার জন্য একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলার কথা চিন্তা করেন শিক্ষার্থীরা।

মূলত সেই জায়গা থেকেই গত পহেলা জুলাই আত্মপ্রকাশ করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। শুরু থেকেই আন্দোলনের একক কোনো মুখপাত্র ছিল না।

আন্দোলন সুসংগঠিত করতে সারা দেশে ৬৫ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়, যেখানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন ২৩ জন।

“আমরা কোনো একক নেতৃত্ব, একক মুখপাত্র রাখিনি। আমাদের এখানে যারা সমন্বয়ক আছেন তারা যে কেউ যেকোনো সময় সামনে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। এখানে কোনো একক নেতৃত্ব নেই,” সংগঠনের আত্মপ্রকাশের পর বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

পরবর্তীতে আন্দোলনটি সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে কমিটির আকারও বাড়ানো হয়। তেসরা অগাস্ট ঘোষণা করা হয় ১৫৮ সদস্যের নতুন সমন্বয়ক কমিটি।

বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন, তারাই কমিটিতে জায়গা পেয়েছিলেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন নেতারা।

“এক্ষেত্রে দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যারা স্বেচ্ছায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সংগঠনটির আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তবে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে, এমন কাউকে আন্দোলনের সমন্বয় কমিটিতে জায়গা না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন শিক্ষার্থীরা।

“কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে এসে সেটির পরিচয় দেয়ার কিংবা ব্যবহার করার সুযোগ নেই; কিংবা ওই রাজনৈতিক দলের যে এজেন্ডা সেগুলো তুলে ধরার, প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই,” আন্দোলন চলাকালে বিবিসি বাংলাকে বলেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

মূলত সেই কারণেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সংগঠন হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলাদা এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়।

কিন্তু প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় মাসের মাথায় সমন্বয় কমিটির সদস্যদের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে, যার জেরে অনেকে সংগঠন থেকে সরেও যাচ্ছেন।

নেতারা পদত্যাগ করছেন কেন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির দেড় শতাধিক সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ২৩ জন গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন।

বেশকিছু অভিযোগ তুলে গত ১৭ই অগাস্ট ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ জন সমন্বয়কের মধ্যে ১৪ জনই একসঙ্গে পদত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন।

সেখানে কমিটির বাকি সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যক্তি স্বার্থে সংগঠনের নাম ব্যবহার, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানান অভিযোগ তোলা হয়।

“সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। পাঁচই আগস্টের পর থেকে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর,” বিবৃতিতে বলেছেন পদত্যাগকারী সমন্বয়করা।

তারা আরও বলেন, “এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী 'সমন্বয়ক' হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি।”

নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সেখানকার আরও চার সমন্বয়ক তাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

তাদেরই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী। কোটা আন্দোলন চলাকালে মি. নবী পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন।

সংগঠন সক্রিয় থাকার পরও তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

“একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই আমি সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। আমাদের প্রাথমিক দাবিগুলো পূরণ হওয়ায় সংগঠন থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. নবী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে তিনি ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন।

“এটা মূলত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একটি সংগঠন। এর মাধ্যমে এখানকার সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করবো,” বলেন মি. নবী।

অন্যদিকে, ১৬ই অগাস্ট বিকেলে একসঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক কমিটির পাঁচজন সদস্য।

তারাও কমিটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।

“কোনো মতামতকে যাচাই-বাছাই না করেই (অভিযুক্ত) সমন্বয়কেরা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলেছেন। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছিলো না কমিটিতে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন পদত্যাগকারী সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার।

কিন্তু পদত্যাগের আগে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কি ঢাকার সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল?

“বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি। আগে যোগাযোগ করলেও উনাদের এখন আর ফোনে পাওয়া যায় না,” বলছিলেন মিজ শিকদার।

‘প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে’

কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠা হলেও পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে বলে মনে করেন সমন্বয়কদের কেউ কেউ।

“যেসব দাবি ও লক্ষ্য সামনে নিয়ে প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছিল, সেগুলো পূরণ হয়ে যাওয়ায় আমি মনে করি এর প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা।

প্ল্যাটফর্মটিকে কোনো রাজনৈতিক রূপ দেওয়ারও পক্ষে নন তিনি।

“ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে সবাই এই প্ল্যাটফর্মের অধীনে আন্দোলন করেছে। সে কারণেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এখন যদি একে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়, সেটি ঠিক হবে না, গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যাবে না,” বলছিলেন মিজ ফাতেমা।

তবে প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা আলাদা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুললে, তাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন এই সমন্বয়ক।

“আলাদাভাবে রাজনৈতিক সংগঠন হলে হতে পারে। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক করা যাবে না। কারণ প্ল্যাটফর্মটি প্রতিষ্ঠার সময়েই আমাদের মধ্যে এক ধরনের বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল যে, এখান থেকে পরবর্তীতে রাজনৈতিক সংগঠন হবে না,” বলেন মিজ ফাতেমা।

কী বলছেন বর্তমান নেতারা?

বিভিন্ন অভিযোগ তুলে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগের যে ঘটনা ঘটেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরাও সেটি শুনেছেন। তবে এর মাধ্যমে সংগঠনে মতবিরোধ বাড়ছে বলে মনে করেন না ঢাকার নেতারা।

“নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ের নানান মতের মানুষ এই প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়েছেন। ফলে কিছুটা মতপার্থক্য বা ভুল বোঝাবুঝি হওয়া অস্বাভাবিক না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তবে কমিটির যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

“বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করছি। অন্যায় করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না,” বলছিলেন মি. আব্দুল্লাহ।

স্বেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম হওয়ায় সবার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“যারা এখানে কাজ করেছে বা এখনও করছে, তারা সবাই স্বেচ্ছাসেবী। কাজেই কারো বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সেভাবে নেই,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এদিকে, কমিটির কেউ বাড়তি কোনো সুবিধা দাবি করলে বা ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে বয়কট করার পরামর্শ দিয়েন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

“ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি বাকশাল কায়েম করতে চায়, তাদের চিনে রাখুন, বয়কট করুন। তারা আমাদের কেউ নয়,” ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেছেন মি. আলম।

অন্যদিকে, কমিটির কোনো সদস্য বেআইনি কাজ করলে পুলিশে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সমন্বয়ক মি. আব্দুল্লাহ।

“দখল, চাঁদাবাজিসহ বেআইনি কাজ যে-ই করুক, তাদেরকে ধরে পুলিশে দিবেন। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আব্দুল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, “সমন্বয়কের আলাদা কোনো ক্ষমতা নেই। আমি এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, তারা বাড়তি কোনো সুবিধাও দাবি করতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সবাই স্বেচ্ছায় কাজ করছি।”

খুব শিগগিরই সমন্বয়কদের নতুন একটি কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন সমন্বয়ক মি. আব্দুল্লাহ।

সংগঠন থাকবে কতদিন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে। তখন সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেদিন দাবি আদায় হয়ে যাবে, সেদিনই প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু বিষয়টি এখন আর আগের অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।

“আন্দোলন চলাকালে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। একইসঙ্গে, আহতদের সুচিকিৎসার বিষয়টিও দেখতে হচ্ছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সমন্বয়ক মি. আব্দুল্লাহ।

‌এর বাইরে, রাষ্ট্র সংস্কারের নতুন দাবিও তুলেছে প্লাটফর্মটি।

“ছাত্র-জনতা দেশের সিস্টেমের সংস্কার চায়। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তাকে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স নিশ্চিত করার জন্যও আমাদের মাঠে থাকতে হচ্ছে,” বলছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন এই সমন্বয়ক।

“আমরা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। যতদিন না এই কাজ চলবে এবং চালানোর প্রয়োজন থাকবে, ততদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে থাকবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. আব্দুল্লাহ।