News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

মার্কিন নির্বাচনি জরিপ : কে এগিয়ে কমলা নাকি ট্রাম্প?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2024-10-29, 12:45pm

retreterter-201d0eb06c02d3c0c56e983fdc81d5ff1730184306.jpg




মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন আগামী ৫ নভেম্বর। এ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন। এখন বড় প্রশ্ন হলো—যুক্তরাষ্ট্র কি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার সুযোগ পাবেন? নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটের দিকে সবার মনোযোগ ততই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।

নির্বাচনি জরিপে সারা দেশে কে এগিয়ে রয়েছেন?

জুলাইয়ের শেষের দিকে নির্বাচনি দৌড়ে নেমেও জরিপে দেখা গেছে, সারা দেশে ভোটারদের মাঝে গড় হারে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের করা জরিপ অনুযায়ী, কমলা হ্যারিসের প্রতি ৪৮ শতাংশ এবং ট্রাম্পের প্রতি ৪৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে।

যদিও এ ধরনের জরিপগুলো সারা দেশে একজন প্রার্থী কতটা জনপ্রিয়, তার একটি আভাস দেয়, তবে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে এটি যথাযথ উপায় নয়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। দেশটির প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে তার জনসংখ্যার আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কয়েকটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি পেতে হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। তবে বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা প্রায় সবসময় একই দলকে ভোট দেন। তবে, কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যেখানে উভয় প্রার্থীই জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকে। এগুলো এমন অঙ্গরাজ্য যেখানে নির্বাচনে যেকোনো প্রার্থী জয়ী অথবা হেরে যেতে পারেন। এগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত।

সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে কে এগিয়ে?

জরিপের ফল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসেবে বিবেচিত সাতটি অঙ্গরাজ্যে এই মুহূর্তে দুই প্রার্থীর প্রতি ভোটারদের সমর্থন খুবই টানটান। এসব অঙ্গরাজ্যের কোনোটিতেই কমলা ও ট্রাম্পের প্রতি ভোটারদের সমর্থনে বড় ব্যবধান নেই। এবিসি নিউজের জরিপ অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত উইসকনসিনে ট্রাম্প ও কমলা এগিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। নেভাদা ও পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প কিছুটা পিছিয়ে, তবে মিশিগানে সামান্য পিছিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। এ ছাড়া নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও অ্যারিজোনায় সামান্য এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এই দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্যে ৯৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। তবে জরিপের এ ফলাফল পরিবর্তনশীল।

২০১৬ সালে জরিপে মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২০ সালে বাইডেন অবশ্য এসব অঙ্গরাজ্য পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কমলা হ্যারিস যদি এবার এটি করতে পারেন, তবে তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্ক এবিসি নিউজের ভোট বিশ্লেষণধর্মী ওয়েবসাইট ফাইভথ্রিএইট পরিচালিত জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে৷ এ জরিপ তৈরিতে জাতীয়ভাবে ও ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো থেকে পৃথকভাবে ডেটা সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটটি।

এ পর্যায়ে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী বলা যায়, সব সুইং স্টেটে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান খুব সামান্য। তাই নির্বাচনে কে বিজয়ী হবেন তা নিয়ে এই মুহূর্তে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন। তবে জরিপে ২০১৬ ও ২০২০ উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন কম দেখা গিয়েছিল।