News update
  • UN Launches $33 Billion Appeal to Aid 135 Million People     |     
  • CA urges united efforts to stop food contamination voicing concern     |     
  • Tarique obliquely slams Jamaat for ‘propaganda’ against BNP echoing AL     |     
  • Medical team hopeful about Khaleda’s recovery in Bangladesh     |     
  • Beanibazar green cover shrinks, migratory birds disappear     |     

নেপালে দুইদিনের আন্দোলনে সরকার পতন, সামনে কী?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2025-09-10, 12:20pm

rgddfg-a643e09ba851e3901c7834454ccef13d1757485228.jpg




ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল। সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসী জীবনযাপন, ব্যাপক বেকারত্ব আর সরকার-প্রশাসনের দুর্নীতির প্রতিবাদে দেশজুড়ে জেন-জি তথা তরুণদের মাত্র দুই দিনের বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরকার পতন হয়েছে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।

কেন এই আন্দোলন 

মাত্র দুদিনের আন্দোলনে সরকার পতন হলেও এই আন্দোলনে দুদিনে সংগঠিত হয়নি। সরকার ও প্রশাসনের দুর্নীতির পাশাপাশি বেকারত্বের হতাশা আস্তে আস্তে আন্দোলন দানা বাধে। যা চলতি সপ্তাহে বড় আকার ধারণ করে।  

‘নেপো কিডস’

এই বিক্ষোভের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিল ‘নেপো কিডস’। ধনী রাজনীতিবিদ এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সন্তানদেরকে এই নামে অভিহিত করা হচ্ছে। নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি থেকে এই নামকরণ। স্বজনপ্রীতির সুবিধাভোগী এই তরুণেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দামী গাড়ি, বিলাসবহুল অবকাশ যাপন এবং জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাত্রার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে যার মাধ্যমে সমাজের প্রকট বৈষম্য ফুটে ওঠে।

সম্পদ ও ক্ষমতার এই নগ্ন প্রদর্শন করতেন নেপো কিডসরা। তাদের এসব কর্মকাণ্ড নেপালের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যকার বিশাল ফারাক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তরুণদের অভিযোগ, এই বিলাসী জীবনযাত্রার অর্থের উৎস হলো প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, যা নেপালের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি টিকটক ভিডিওতে এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘নেপো কিডস'রা ইনস্টাগ্রাম আর টিকটকে তাদের জীবনযাত্রা দেখায়, কিন্তু এই টাকা কোথা থেকে আসে, তা কখনও বলে না।’ এই নেপো কিডসদের ওপর ক্ষোভ থেকে আন্দোলনে #NepoKids হ্যাশট্যাগ নেপালের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম শীর্ষ ট্রেন্ডে পরিণত হয়।

বালেন্দ্র শাহ ও সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্ব

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদের সামনের সারিতে ছিলেন সুদান গুরুং। তিনি যুবকেন্দ্রিক এনজিও হামি নেপালের সভাপতি। যে এনজিওটি ধীরে ধীরে একটি নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে গুরুং নিশ্চিত করেন, তার প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে র‍্যালি আয়োজন করেছে। র‌্যালিতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম ও হাতে বই নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। যা শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ব্ল্যাকআউটের আগে হামি নেপাল সামাজিকমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবাদ রুট ও নিরাপত্তা নির্দেশাবলী জানিয়ে দিত। সুদানের বার্তায় ছিল শৃঙ্খলা, অহিংসা ও প্রতীকের ওপর জোর। তিনি শিক্ষার্থীদের প্ল্যাকার্ড বা স্লোগান নয়, বরং স্কুল ইউনিফর্ম পরে বই হাতে নিয়ে ভবিষ্যতের প্রতীক হয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

আন্দোলনের শুরু থেকেই এক্ষেত্রে আরও একটি নাম সামনে আসতে শুরু করে, তিনি হলের কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ। ভারতবিরোধী কিন্তু আমেরিকাবান্ধব এই মেয়র নিজ দেশের তরুণ সমাজের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এক নেতার নাম।

ছকভাঙা ব্যক্তিত্বের কারণে তরুণদের প্রিয়মুখ হয়ে উঠা এই বালেন্দ্র শাহ’ই নেপালের অপশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ নেপোকিড আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে জেন-জি আন্দোলনের সূচনা

চলমান আন্দোলনের মধ্যে গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ২৬টি সামাজিকমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।  কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব কোম্পানি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করেনি এবং ভুয়া তথ্য প্রচার ও অনলাইন প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

তবে পর্যবেক্ষকরা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। সুশীল সমাজ ও বিরোধী নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের এ পদক্ষেপ দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমালোচনা ঠেকাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভিন্নমত দমনের কৌশল হিসেবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ দেখা গেছে তরুণ নেপালিদের মধ্যে। তাদের কাছে রাজনৈতিক অসন্তোষ প্রকাশ, আন্দোলন সংগঠিত করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার প্রকাশের প্রধান মাধ্যম ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

দেশটির অনেক তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবার ও সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরছিলেন। তারা এমন এক সময়ে সরকারের আমলা ও রাজনীতিকদের মুখোশ উন্মোচন করছিলেন, যখন দেশটিতে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নামেন হাজার হাজার তরুণ। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাজীবী কাঠমান্ডুতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় জেন-জি আন্দোলন। যা পরে মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘দুর্নীতি বন্ধ করো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয়’, ‘তরুণরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এতে তরুণদের এই আন্দোলন যে নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে বৃহত্তর রাজনৈতিক ক্ষোভকে যুক্ত করেছে, তা পরিষ্কার।

যেভাবে সহিংসতায় রূপ নিল বিক্ষোভ

দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পরবর্তীতে দ্রুত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন ঘিরে ফেলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

ব্যাপক উত্তেজনা ও সংঘর্ষের মাঝে কিছু বিক্ষোভকারী সোমবার দেশটির সংসদ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান এবং পরে সরাসরি গুলি চালান। সোমবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে সহিংতায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়।

হতাহতের ঘটনায় বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। কারফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফের রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা। সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে সুনির্দিষ্ট স্থাপনায় হামলা

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেন এবং শীর্ষ নেতাদের বাড়িঘরে একযোগে হামলা চালান। হামলার নিশানায় ছিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল, নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহলের বাসভবন।

এছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু দেউবা রানার মালিকানাধীন একটি বেসরকারি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলটি জ্বলছে এবং বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় নেপালের সামরিক বাহিনীর ১২টি বিমানে করে মন্ত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এর মধ্যে ৫টি বিমানবিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল।

নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচলের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-খ্যাত ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সব ধরনের ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা ড্রোন, আতশবাজি ও লেজার লাইট দিয়ে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে স্থগিত করা হয়েছে। দেশীয় এয়ারলাইনস বুদ্ধ এয়ারসহ অন্য কোম্পানিগুলোও ফ্লাইট বাতিল করে।

প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগ

দেশজুড়ে ভয়াবহ সহিংসতার মাঝেই পরিস্থিতি শান্ত করতে শেষ চেষ্টা হিসেবে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সহিংসতা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে।’ ভাষণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন তিনি।

কিন্তু পর্দার আড়ালে ক্রমবর্ধমান চাপের মাঝে পড়ে যান ওলি। দেশটির সেনাবাহিনীর একাধিক সূত্র বলেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে ওলি সেনাপ্রধান আশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক সহায়তা চান তিনি। সিগদেল বলেন, তিনি (অলি) যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, তখনই সামরিক বাহিনী কেবল পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে পারে।

শেষ পর্যন্ত অলি পদত্যাগে রাজি হন এবং প্রেসিডেন্ট পাউডেলের কাছে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে নেপালে প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর কেপি শর্মা অলির চতুর্থ মেয়াদের অবসান ঘটে।

পদত্যাগের আগ একেবারে শেষ সময় ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে কয়েকটি ঘোষণা দেন ওলি। সোমবারের সহিংসতার ঘটনা তদন্তে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশসহ একটি তদন্ত কমিটি গঠন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণা দেন তিনি। যদিও তার পদত্যাগের পর এসব প্রতিশ্রুতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

নেপালের বর্তমান সরকারের ভবিষ্যৎ কী?

ওলির মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক সোমবার রাতেই পদত্যাগ করেন। মঙ্গলবার দেশটির কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী পদত্যাগ করেন। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী তেজু লাল চৌধুরী এবং পানি সম্পদমন্ত্রী প্রদীপ যাদবও পদত্যাগ করেন। সংসদ সদস্য আসিম শাহ পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রদীপ পাউডেল পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ভাঙনের মুখে জোট সরকার

দেশটির চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভাঙনের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন জোট সরকার। দেশটির সংসদের ২৭৫ আসনের মধ্যে ৮৯ আসনের দখল রয়েছে নেপালি কংগ্রেস পার্টির। দলটির জেষ্ঠ্য নেতা শেখর কৈরালা তার সমর্থকদের সরকার থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। মাওবাদী সেন্টারের ৩২ আসন রয়েছে। তারাও জোট সরকার থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।

এছাড়া জনতা সমাজবাদী পার্টিসহ অন্যান্য কয়েকটি ছোট দলও সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংসদে এসব দলের প্রায় ১০টি আসন রয়েছে। পাশাপাশি  ন্যাশনাল ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টির (এনআইএসপি) ২১ জন এমপি একসঙ্গে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই দলটি বিক্ষোভের কট্টর সমর্থক এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে দেশে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

এতে জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৩৮ আসনের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলগুলো এখন অস্থায়ী সরকার গঠন এবং আগাম নির্বাচনের দাবি তুলছে। সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীরা এখনও রাস্তায় অবস্থান করছেন এবং বাস্তব রাজনৈতিক পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত পিছু হটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।