এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে সৌদি আরব৷ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তারা এই তেল আমদানি করেছে বলে জানা গেছে৷
রাশিয়া থেকে সৌদির দ্বিগুণ তেল আমদানি
এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে সৌদি আরব৷ গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য তারা এই তেল আমদানি করেছে বলে জানা গেছে৷
বিশ্বে অপরিশোধিত ক্রুড তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব৷ কিন্তু গত তিন মাসে দেশটি নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দুই গুণ বেশি তেল আমদানি করেছে৷
কেন তেল কিনছে সৌদি আরব?
বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া থেকে দেশটি তেল আমদানি করে৷ মূলতঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরিশোধিত তেল কেনে তারা৷ এতে নিজেদের তেল পরিশোধন করতে হয় না বরং নিজেদের উৎপাদিত অপরিশোধিত ক্রুড বিশ্ব বাজারে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে বিক্রি করে৷
চলতি বছর গ্রীষ্মে তীব্র গরমে সৌদি আরবে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়৷ বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাই জ্বালানি তেলের আমদানিও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারটেক্স৷ প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে জুনে দৈনিক তিন লাখ ২০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে সৌদি যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ৷
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে রাশিয়ার পোয়াবারো
ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার উপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়েনি৷ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সৌদি আরবের মতো বিভিন্ন দেশ বরং তাদের থেকে আমদানি বাড়িয়েছে৷ এই তালিকায় আছে চীন, ভারতসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশও৷
বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও রাশিয়ার জন্য সুফল বয়ে এনেছে৷ ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রেকর্ড সাত হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে৷ জ্বালানি ও পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধি সেই সঙ্গে আমদানি হ্রাস এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে৷ তথ্য সূত্র ডয়চে ভেলে বাংলা।