News update
  • Israeli Aggression against Qatar, Extension of Crimes against Palestine     |     
  • No place is safe in Gaza. No one is safe     |     
  • Stocks fail to recover despite slight gains in Dhaka, Ctg     |     
  • BB Purchases $353m in Dollar Auction to Stabilise Taka     |     
  • Promoting social inclusion of disabled persons thru empowerment     |     

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2024-03-31, 10:06am

diauora9r90w-9d45a0eee4f1ad4efed4a162c1d1542d1711858001.jpg




ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য।

প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে।

বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত।

প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।