News update
  • Dreams of returning home dashed by reality in Gaza City     |     
  • Hospitals overwhelmed in DR Congo, food running out     |     
  • Israel’s Ban on UNRWA to Undermine Ceasefire in Palestine     |     
  • Dhaka’s mosquito menace out of control; frustration mounts     |     
  • 10-day National Pitha Festival begins at Shilpakala Academy     |     

বেগমগঞ্জ কূপের তিন স্তরে মিলেছে গ্যাস, প্রতিদিন গ্রিডে যুক্ত হবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2024-08-13, 12:27pm

ewtetewtqwet-dec664a9ebde78f34afbe7a1a6e880021723530432.jpg




নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। এ থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।

বাপেক্স জানায়, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।

বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১ মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।

হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’

বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায় আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’ 

বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি। একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’

এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের। সময় সংবাদ