News update
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     

লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক গ্যাস কূপ খননেও ব্যর্থ পেট্রোবাংলা!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2025-02-05, 12:30pm

whcwhchwc-f0972773a7c132aefcd731331c8071441738737040.jpg




জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় চলতি বছর ৩৪ কূপ খনন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। তবে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এ পরিকল্পনা অনেকটা উচ্চাভিলাষী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। কেননা, ২০২২ সালে চার বছরে ৪৮ কূপ খননের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও, এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৬টির। যদিও সংস্থাটি জানাচ্ছে, হালনাগাদ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে পরামর্শক কমিটি।

তীব্র জ্বালানি সংকট, দিন দিন কমছে দেশীয় উৎপাদন, আবার আমদানিনির্ভরতায় ব্যয়বৃদ্ধির চাপ-এমন সব নানা প্রতিকূল বাস্তবতায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৪৮ কূপ খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয় জ্বালানি বিভাগ। লক্ষ্য ছিল ২০২৫ সালের মধ্যে এসব কূপ খনন করে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা। কিন্তু এ যেনো 'কাজীর গরু কেতাবেই আছে, গোয়ালে নেই' অবস্থা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ৩৫ কূপ খনন ও সংস্কারের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কাজ হয়েছে মাত্র ১৬ কূপের। আর তাতে সম্ভাবনা জেগেছে দৈনিক ১৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার। যদিও জাতীয় গ্রিডে এখন পর্যন্ত গ্যাস যুক্ত করা গেছে মাত্র ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে। কিন্তু জ্বালানি সংকট সামাল দেয়ার এ কার্যক্রমে কেন এতো ধীরগতি?

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, এখনও জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি রয়েছে। জনগণের সহযোগিতা থাকলে অল্পসময়েই অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ করা যায়। এছাড়া খনন কাজের জন্য অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, যা ক্রয়েও ধীরগতি রয়েছে।

তবে পেট্রোবাংলা জানাচ্ছে, আগের কালক্ষেপণ পুষিয়ে নিতে ঢেলে সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা। চলতি বছরই ৩৪ কূপ খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়েই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চায় সংস্থাটি।

এর মধ্যে নিজস্ব রিগে ৬টি কূপের কাজ পেয়েছে চীনা কোম্পানি সিনোপ্যাক ও সিসিডিসি, ১৪ কূপের কাজ করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। আর বাকিগুলোর কাজ দেয়া হবে উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রে। 

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে সামনে আর ধীরগতি হবে না। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ৮-৯ মাস সময় বাঁচানো যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন আর অর্থছাড়েও আনতে হবে গতি। নতুবা কাগুজে পরিকল্পনাতেই আটকে থাকবে সবকিছু।

ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল আলম বলেন, দেশে ঘোষণা ও বাস্তবতার মধ্যে বড় ফারাক থেকেই যায়। এটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য কূপ খননে সক্রিয় কার্যক্রম নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড়ের বিষয়টি নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকে। অর্থছাড়ে গতি আনতে হবে।

বিদ্যমান কার্যক্রম শেষে আগামী বছর থেকে তিন বছরে আরও ১০০টি কূপ খনন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।