
অনলাইন রিটার্ন দাখিলে অসমর্থ করদাতাদের যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করে পেপার রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এজন্য ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে পেপার রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩–এর ধারা ৩২৮ এর উপধারা (৪) অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। বিশেষ আদেশ নং–১/২০২৫ এর ক্রমিক নং–১ অনুসারে বিশেষ শ্রেণির করদাতা ছাড়া অন্য সব স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাকে পোর্টালের মাধ্যমে ই-রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
তবে ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার কারণে কেউ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যৌক্তিক কারণসহ লিখিত আবেদন করে পেপার রিটার্ন দাখিলের অনুমতি নেয়া যাবে।
সেক্ষেত্রে ওই করদাতারা ৩১ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে পেপার রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট এক বিশেষ আদেশে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি ছাড়া সারাদেশের সকল ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।
পরে ১১ আগস্ট বিশেষ আদেশটি প্রতিস্থাপন করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদেরও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে তাদের রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ অক্টোবর।