
প্রতিবছর করদাতাদের তাদের আয় ও ব্যয়ের পূর্ণ তথ্য আয়কর রিটার্নে সঠিকভাবে প্রদর্শন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বছর শেষে যে কোনও সঞ্চয়, তা ব্যাংক হিসাব ও হাতে থাকা নগদ উভয় ক্ষেত্রেই দেখাতে হবে। কারণ পরবর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তৈরিতে এই সঞ্চয়ের তথ্য অপরিহার্য।
ব্যাংক সঞ্চয় দেখানোর নিয়ম:
.৩০ জুন তারিখে প্রতিটি ব্যাংক হিসাবের স্থিতি অনুযায়ী ব্যালান্স দেখাতে হবে।
.একাধিক ব্যাংক হিসাব থাকলে প্রতিটির ব্যালান্স আলাদাভাবে দিতে হবে।
.নিজের অর্জিত অর্থই ব্যাংকে রাখা উচিত; আত্মীয় বা বন্ধুদের অর্থ নিজের নামে জমা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ এবং আইনগত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
.জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ লাখ টাকার অধিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক।
নগদ সঞ্চয় দেখানোর সাবধানতা:
.রিটার্নে অস্বাভাবিক বড় অংকের নগদ দেখানো ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ কর কর্মকর্তারা সন্দেহ করে নিরীক্ষা করতে পারেন।
.হাতে থাকা নগদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ৩০ জুনের প্রকৃত নগদ পরিমাণই দেখাতে হবে।
.অন্য কারো সঙ্গে সমবায়মূলক অর্থ জমা রাখলে দলিল না থাকলে সেটি দেখানো যাবে না।
.ভবিষ্যতে জমি বা সম্পদ কেনাকাটায় নগদ থেকে বিনিয়োগ করলে তা বৈধ হিসাবের অংশ হিসেবে ধরা হবে।
সতর্কতা: ব্যাংকে শুধু নিজের আয় জমা রাখুন, অন্যের টাকা জমা দিলে তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকতে হবে। নগদ জমার ক্ষেত্রে বাস্তবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিন, অতিরিক্ত নগদ দেখানো এড়িয়ে চলুন।
এভাবে আয়কর রিটার্নে ব্যাংক ও নগদ সঞ্চয়ের সঠিক তথ্য দেখানো করদাতাদের জন্য নিয়ম ও নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আরটিভি/