Dead body
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে কলেজ ছাত্রী শামীমা আক্তারের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শামীমা ধানখালী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও চম্পাপুরের রুহুল আমিন শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শামীমা আক্তারের পিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করায় মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে তিন মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলামের সাথে শামিমার বিয়ে দেয়। এটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি শামীমা। এ কারনে সে মানসিক সমস্যায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তো।
শুক্রবার শামীমাকে ঘরে রেখে তার মা হাসিনা বেগম বাড়ির একটু দূরে স্বামীর দোকানে যায়। এর একটু পরই আশেপাশের লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখে মেয়ে শামীমা ওড়না দিয়ে ঘরের মেঝের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে নামিয়ে কলেজ বাজারে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। কেন, কী কারনে সে মারা গেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। - গোফরান পলাশ