News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও তাকবির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-04-10, 7:45pm

062954namaz-099ef3875e60c5cce91f7c84262de5fa1712756738.jpeg




ঈদ আরবি শব্দ। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, ফিরে আসা ইত্যাদি। যেহেতু প্রতি বছর দিনটি ফিরে আসে তাই, একে ঈদ বলা হয়। প্রতিবছর আরবি শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ফিরে আসে অনন্য এ আয়োজন। এটি এমন এক নির্মল দিন, যেদিন মুসলিমরা আত্মশুদ্ধির অনাবিল আনন্দে পরস্পর ভ্রাতৃত্বের ময়দানে কাতারবদ্ধ হন। দু’রাকাত নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদের দিনের মূল আয়োজন শুরু হয়।

ঈদের নামাজ

ঈদের নামাজ মূলত আজান-ইকামতহীন দুই রাকাত ওয়াজিব সালাত। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে পড়া উত্তম। তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারামে উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। (বুখারি: ১/১৩১, ফতোয়ায়ে শামি: ১/৫৫৫, ১/৫৫৭, আল মুহাজ্জাব: ১/৩৮৮)

ঈদের নামাজের সময়

সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধহাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত, যেন নামাজের আগেই বেশি থেকে বেশি সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির: ২/৭৩, আল মুগনি: ২/১১৭)

নামাজের নিয়ত

ইসলামে নিয়ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকল কিছুই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত অর্থ হলো, মনের ইচ্ছা, সঙ্কল্প বা প্রতিজ্ঞা। এটি অন্তরের কাজ, জিহ্বার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো কাজের শুরুতে মনের মধ্যে যে ইচ্ছাপোষণ করা হয়, সেটাকেই নিয়ত বলা হয়। তাই মনে মনে নির্দিষ্ট করতে হবে যে, আমি এই ঈদের নামাজ কিবলামুখী হয়ে ইমামের পেছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি।

ঈদের নামাজের তাকবির ও নিয়ম

ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘ছানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এই তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুক্তাদি সবাইকে হাত ওঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রতিটি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে। কেউ যদি এই তাকবিরগুলো না পায়, তাহলে সে রুকুতে থাকা অবস্থায় আদায় করে নেবে। কারো পূর্ণ এক রাকাত ছুটে গেলে সে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবিরগুলো আদায় করে নেবে। কেরাতের আগে আদায় করারও সুযোগ রয়েছে। নামাজ শেষে খুতবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত, তা শ্রবণ করা নামাজির জন্য ওয়াজিব। (ফতোয়ায়ে শামি: ১/৫৫৯, ৫৬০)

ঈদের দিনের সুন্নত

গোসল করা : ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করা সুন্নত। এ বিষয়ে হাদিসে রয়েছে, হজরত ইবনে উমার (রা.) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। (সুনানে বায়হাকি ৫৯২০)।

সুন্দর জামাকাপড় পরিধান করা : গোসল করার পর সাধ্যমতো উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা উচিত। কেননা, আল্লাহ তার প্রদত্ত নেয়ামতের প্রকাশ দেখতে চান। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা তার বান্দার ওপর তার প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন। (সহিহ আল জামে ১৮৮৭)।

ঈদের নামাজের আগে কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া : ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে এবং ঈদুল আজহার দিন ঈদগাহ থেকে ফেরার পর কিছু খাওয়া সুন্নত। হজরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি করিম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের আগে কিছু খেতেন না। (তিরমিজি শরিফ : ৫৪৫)।

হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া : ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সুন্নত হলো ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া’। (তিরমিজি শরিফ : ৫৩৩)।

এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা : এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, নবি করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। (সহিহ বুখারি : ৯৮৬)।

নামাজ শেষে খুতবা শোনা : ঈদের নামাজ শেষে খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবি করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন, বললেন, আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে। (আবু দাউদ শরিফ : ১১৫৭)।

সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা : রমজান মাসে রোজার যে ত্রুটি হয়েছে তা পূরণ করতে অভাবগ্রস্ত আর গরিবদের যে খাদ্যসামগ্রী দান করা হয় তাকেই সাদাকাতুল ফিতর বলে। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি : ১৫০৩)। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।