News update
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     
  • Khulna’s ‘white gold’ shrimp eyes Tk 22,600cr export goal     |     

কোরবানির নিয়ম ও দোয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-06-16, 9:19pm

rthrtyrty-2fa7de76c3929cdcb96e6df8de5caf261718551176.jpg




আনন্দ ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির ১০ জিলহজ; পবিত্র ঈদুল আজহা। রাত পোহালেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় উৎসব। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করবেন মুসল্লিরা।

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের সূরা কাউসারে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’

১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। (দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা-২১৯, খণ্ড : ৫)

‘১০, ১১ ও ১২ জিলহজ—এই তিন দিন কোরবানি করা যায়। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।’ (রদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৬) জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা শুদ্ধ নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/২৯৬)

একইভাবে ঈদুল আজহার নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। অবশ্য যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয়, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা জায়েজ। (কুদুরি, পৃষ্ঠা-১৯৮)

নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা মোস্তাহাব। যদি নিজে জবাই করতে না পারে তবে অন্যের দ্বারা জবাই করাবে। এ অবস্থায় নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। (ফতোয়ায়ে শামি: ৫/২৭২) নিজ হাতে কোরবানির পশু জবাই

জবাই করার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নেওয়া মোস্তাহাব। কোরবানির পশুকে এমনভাবে জবাই করা উচিত, যাতে পশুর কোনো প্রকার অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না হয়। এমনিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে জবাই করা উচিত। জবাইকারী ব্যক্তির সঙ্গে যদি কেউ ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে, তার জন্যও ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর’ বলা ওয়াজিব। (হেদায়া: ৪/৪৩৮; ইমদাদুল ফতোয়া: ৩/৫৪৭, ফতোয়ায়ে শামি: ৯/৪৭৩)

জবাই করার সময় কোরবানির পশু কেবলামুখী করে শোয়াবে। অতঃপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর’ বলে জবাই করবে। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। আর যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তবে তা খাওয়া জায়েজ আছে। (হেদায়া: ৪/৪৩৫)

পশু জবাই করার সময় মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে নিয়ত করবে যে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। (ফতোয়ায়ে শামি: ৫/২৭২)

জবাই করার সময় পশুর চারটি রগ কাটা জরুরি: কণ্ঠনালি, খাদ্যনালি ও দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়। এই চারটি রগের মধ্যে যেকোনো তিনটি কাটা হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি দুটি কাটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া: ৪/৪৩৭)

কোরবানির পশু কেবলামুখী করে শোয়ানোর পর এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়—

ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা। (আবু দাউদ: ২৭৯৫)

এই দোয়া পাঠ করার পর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলে পশু জবাই করতে হবে। পশু জবাই করার পর পাঠ করতে হবে—

‘আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মদ ও খালিলিকা ইবরাহিম।’ যদি একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করে তবে ‘মিন্নি’র স্থলে ‘মিন্না’ পাঠ করবে এবং শরিকদের নাম পাঠ করবে। তবে তাদের নাম শুধু নিয়ত করলে হবে।

কোরবানি করার সময় এই দোয়াও পাঠ করা যাবে—

‘বিসমিল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহুম্মা হাজা মিনকা ওয়া লাকা, হাযা আন্নি। আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন... ওয়া আলি ... ডট দেয়া স্থানদ্বয়ে কোরবানীকারীর নাম উল্লেখ করবে।

তবে, এসব দোয়ার মধ্যে কোরবানির সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। বিসমিল্লাহি আল্লাহুআকবর বলা উত্তম। এর অতিরিক্ত যে কথাগুলো আছে সেগুলো বলা মোস্তাহাব; ওয়াজিব বা জরুরি কিছু নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নতের অনুসরণে সঠিক নিয়মে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন। আরটিভি