News update
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     

আল আকসা: হাজার বছরেও ফিকে হয়নি যে মসজিদের সৌন্দর্য্য

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-03-30, 7:12am

dfea97602fcc0e07b3106c392d07bd86d46753b925f3303c-05e99a6dc136e5c353ab526fd298656d1743297150.jpg




বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম আল আকসা মসজিদ। প্রাচীন এই মসজিদটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের জন্য পবিত্র স্থান জেরুজালেমে।

সময়ের দৌঁড়ে মোটেও ফিকে হয়ে যায়নি এই মসজিদের সৌন্দর্য। ধর্মীয় মাহাত্ম্য ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর জোরে আজও কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে আছে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি।

জেরুজালেমের ওল্ড টাউনে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য মহা পবিত্র এই স্থানটির ইতিহাস শুরু হয় প্রথম মানব আদম এর সময় থেকে। মক্কার কাবা নির্মাণের চল্লিশ বছর পরে আল-আকসা মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

পরবর্তীতে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে খলিফা উমর ইবন আল-খাত্তাবের নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম বিজয়ের পর, সেখানে একটি সাধারণ কাঠের মসজিদ নির্মাণ করে। যা প্রায় ৩ হাজার মানুষকে একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ করে দেয়। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদ এর মিরাজ ভ্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এই মসজিদটির মহিমা আরও বৃদ্ধি পায়।

মসজিদটির ইট-পাথর থেকে শুরু করে সূক্ষ্ম কারুকাজ এবং বাহারি নির্মাণশৈলী যেন এর হাজার বছরের ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন। বিশাল সিলিং, সোনালি গম্বুজ আর ঐতিহাসিক কাঁচের জানালা সব মিলিয়ে আল আকসা মসজিদের স্থাপত্য মনোমুগ্ধকর। 

মসজিদটির বাহ্যিক শৈলীও অসাধারণ। ১০৬৫ খ্রিস্টাব্দে ফাতিমিদ খলিফা আল-মুস্তানসির বিল্লাহর অধীনে নির্মিত মসজদটির সম্মুখভাগে চৌদ্দটি পাথরের খিলান রয়েছে, যা রোমানেস্ক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। অভ্যন্তরে সাতটি করিডোর রয়েছে, যা মার্বেল ও পাথরের স্তম্ভের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদের উপরে রয়েছে সীসা পাত দিয়ে আবৃত একটি রূপালি গম্বুজও।

১১শ শতাব্দীর ঐতিহ্য ধারণকারী সূক্ষ্ম কারুকাজ ও মোজাইকের সৌন্দর্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। নির্মাণশিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি এই স্থাপনা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয় বরং এক মহৎ শিল্পকর্ম।

৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে খলিফা উমর ইবন আল-খাত্তাবের নির্মিত কাঠের মসজিদটিকে ৭০৬ থেকে ৭১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ একটি বৃহত্তর কাঠামোর রূপ দেন। নির্মাণে প্রধানত স্থানীয় উপকরণ ব্যবহৃত হয়, যেমন বাইরের দেয়াল ও সামনের অংশে সাদা চুনাপাথর এবং বাইরের স্তম্ভে সাদা মার্বেল।

মূল গম্বুজটি তৈরি হয়েছিল কাঠ দিয়ে। কালের পরিক্রমায় গম্বুজটি বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মিত হয়েছে। প্রথমে কংক্রিট দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হলেও পরে এর ঐতিহাসিক স্বকীয়তা রক্ষার জন্য সীসা আবরণ দেয়া হয়।

আল আকসা মসজিদের অন্যতম বিশেষত্ব হলো এর ইসলামিক ঐতিহ্য ও গুরুত্ব। এটি শুধু একটি প্রার্থনার স্থান নয়, বরং বিশ্বের মুসলিমদের জন্য এক পবিত্র তীর্থস্থান। মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই মসজিদটি।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে, এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ, যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয় এই মসজিদ। এর সামনে রয়েছে একটি বিস্তীর্ণ উঠান। 

যেখানে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারেন। আল আকসা মসজিদের গম্বুজ, তার শৈল্পিক নকশা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব ইসলামিক বিশ্বের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। সময়।