News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনকরে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ৪০ বিশিষ্ট নাগরিক

নির্বাচন 2023-12-18, 10:07am

download-3-dda3d541eaf84484218be79bfabdd8dd1702872433.jpeg

Election Commission logo.



সব দলের অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নতুনকরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এক যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে সংবিধানের ১২৩ (৩) (খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে এর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন, সমঝোতায় পৌঁছানো, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি বা জামিন প্রদান এবং নতুন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পাওয়া যাবে।

যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ৭ জানুয়ারি একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই নির্বাচনের আগে আগে নির্বিচার মামলা, গ্রেপ্তার, বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় সাজা প্রদান ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন; এমনকি রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে কেবল তাদেরই ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর প্রার্থীদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। ফলে এই নির্বাচনে পছন্দমতো যথার্থ বিকল্প বেছে নেওয়া থেকে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বঞ্চিত হবেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

অতীতের দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের ফলে সরকারের জবাবদিহি বিলীন হয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পড়ে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে এবং আইনের শাসন ও সুশাসন সুদূরপরাহত হয়ে পড়ে।

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সুজনের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ বি এম সিরাজুল ইসলাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, শাহনাজ হুদা ও রোবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল, লেখক রেহনুমা আহমেদ, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক স্বপন আদনান, পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি ডি রহমতুল্লাহ, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, সাংবাদিক কামাল আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল, ব্যবসায়ী আবদুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তবারক হোসেন, মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ চট্টগ্রাম) উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সুজন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক আখতার কবীর চৌধুরী, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর পারভীন হাসান, ক্লিনিক্যাল নিউরোসায়েন্স সেন্টার ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক নায়লা জামান খান, গবেষক মোবাশ্বের হাসান, মানবাধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ আর রাজী, লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক রোজিনা বেগম।