News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বসেছেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পরীক্ষা 2024-02-09, 11:26am

dfafa-a283e9d11ea180bc7a360e9f1a833e511707456436.jpg




মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় বসেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শুক্রবার সকাল ১০টায় এক ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলোও এ বিষয়ে কাজ করছে। যেকোনো জালিয়াতি প্রতিরোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

এর আগে

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যার মোট আসন ৫৩৮০ টি। এ ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যার মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫ টি।

তিনি বলেন, এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

*প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রয়েছে, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়;


*৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুর গেট খোলা হবে সকাল আটটায়। পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না;

*পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়ে আসতে হবে;

*কেন্দ্র/ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীদের (ছেলে ও মেয়ে) পৃথক পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও বলপয়েন্ট কলম ব্যতীত অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি আর্চওয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি তদারক করা হবে;

* ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে ইনভিজিলেটর (কক্ষ পরিদর্শক) সকাল আটটা থেকে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষে অবস্থান করে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবির জলছাপ ও রঙিন ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;

*পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটর, ভেন্যুর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোনোভাবেই মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ, এয়ারফোন ইত্যাদি বহন করবেন না;

*ভর্তি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত কেউ মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না;

*ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন না;

*গত ১০ জানুয়ারি থেকে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের নির্দেশনার পর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অফলাইন কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন কোচিং বন্ধ ও সাইবার অপরাধ রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে;

*পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর আশপাশের ফটোকপির মেশিন বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রকার অসদাচরণ/প্রতারণা/গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।

চিঠিতে বলা হয়, বিগত দিনে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের নামে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়। এই কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।