News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

ভ্রমণ সীমিত না করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সেন্টমার্টিনকে পর্যটকবান্ধব করার দাবি টোয়াব’র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2022-06-11, 7:37pm




পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত না করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে আরো পর্যটকবান্ধব করে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) নেতৃবৃন্দ।

আজ ঢাকা ক্লাবে ‘পর্যটন বাঁচান, সেন্টমার্টিন বাঁচান’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। 

টোয়াব নেতৃবৃন্দ বলেন, পর্যটক গমণ সীমিতকরণ কোন প্রতিকার নয়, বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে আরো পর্যটকবান্ধব করে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সেন্ট-মার্টিন দ্বীপের স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন টোয়াবের সহসভাপতি মো. সাহেদ উল্লাহ। টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও বাংলাদেশে ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্ণিং বডির সদস্য মো. রাফেউজ্জামান। হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন্স (হোস্ট) এর সাধারন সম্পাদক আবু জাফর পাটোয়ারী, সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। 

তারা বলেন, দেশে সমুদ্র ভ্রমণের সুযোগ সংকুচিত হলে পর্যটকরা বিদেশমুখী হবে এবং আমাদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমান অর্থ বিদেশে চলে যাবে। ফলে এই সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতি হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সীমিত না করে বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিতেরও দাবি জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাসহ জীবিকার তাগিদে আসা দেশের বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ হাজার মানুষ বসবাস করছে। শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের আয়ের একমাত্র খাত এই পর্যটন। ৫ মাসের পর্যটনের আয় দিয়ে বাকি ৭ মাস তারা জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও দ্বীপের পর্যটন ঘিরে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ দেশের প্রায় ৫ লাখ লোক তাদের পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। পর্যটক সীমিত করা মানে বাসিন্দাদের একমাত্র আয়ের উপর খড়গ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম অর্থাভাবে অন্ধকার পথে পা বাড়ানোসহ তাদের শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।

টোয়াব নেতারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পর্যটক সীমিত করা কোনো সমাধান নয়। অনেক বিজ্ঞানসম্মত উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য তথা ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার সৈকতে ঘুরতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ প্রবাল বেষ্টিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের এলাকা। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক ওই স্থানগুলোতে অবস্থান করে এর জীব-বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করে। পাশাপাশি মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন অত্র দ্বীপাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের একমাত্র উপার্জনের উৎস এই ট্যুরিজম। একে ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটকবাহী নৌযান, হোটেল-মোটেল, সাথে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে  তরুণদের ট্যুর গাইড সেবাও। ক্রমান্বয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা এই দ্বীপটিতে অতিরিক্ত পর্যটক গমণ পরিবেশের জন্য হুমকি বিবেচনা করে সেখানে পর্যটন সীমিত করণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।  তথ্য সূত্র বাসস।