News update
  • Earthquakes & repeated aftershocks in Dhaka raises concerns     |     
  • Khaleda admitted to Evercare Hospital for health check-up     |     
  • Dhaka records unhealthy air quality on Sunday morning     |     
  • Govt letter to EC to hold election, referendum on same day     |     
  • COP30 boosts funding for at-risk nations but avoids firm fossil fuel terms     |     

বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগ উন্নয়নে যুগান্তকারী উদ্যোগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2022-09-08, 7:22pm




তিন বছর পর দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, সহযোগিতা ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় দেশের অভ্যন্তরীণ রেল সংযোগ উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত বেশ কয়েকটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি দিয়েছে উভয় দেশ। যৌথ সম্মতিতে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগের উন্নয়নে গৃহীত নতুন উদ্যোগের কথা।

বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগের উন্নয়নে গৃহীত নতুন উদ্যোগের মধ্যে যা রয়েছে।

টঙ্গী-আখাউড়া লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, বাংলাদেশ রেলওয়েতে রোলিং স্টক সরবরাহ, ভারতীয় রেলওয়ের স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার উন্নতি নিশ্চিতে আইটি-সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রদান।

কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নিউ গীতালদহ রেল সংযোগ, হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর রেলপথ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন, বুড়িমারী ও চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে রেল সংযোগ পুনঃস্থাপন এবং সিরাজগঞ্জে একটি কনটেইনার ডিপো নির্মাণ ইত্যাদি।

এসব প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে একাধিক আর্থিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্পসমূহের অর্থায়ন নিশ্চিতকরণে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।

এ ছাড়া বাংলাদেশের অনুরোধে অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে ২০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

সমঝোতা স্মারকগুলো হলো : কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক, স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লি পৌঁছান। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।