সব ধরনের ফ্লাইটের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয় দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিনের তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তান ও ভারত শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
গত কয়েকদিন হামলা পাল্টা হামলার ধারাবাহিকতায় শনিবার (১০ মে) ভোরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের অন্তত তিনটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে।
এর জেরে পাকিস্তান জরুরি ভিত্তিতে বেসামরিক ও বাণিজ্যিক সব ফ্লাইটের জন্য দেশের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে ভারত। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে। এরপরও নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের পাল্টা পদক্ষেপ উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
অবশেষে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ভারত। ওই অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপরারেশন সিঁদুর’।
হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় বলে দাবি ইসলামাবাদের। এছাড়া বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক হতাহত হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে কয়েকশ মানুষ হতাহতের পাশাপাশি উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) নিজেদের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর ভারতে ‘অপারেশ বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যা কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষ নিশ্চিত করে। সময়।