Finance Adviser of the Interim Government Dr. Saleh Uddin Ahmed addressing a seminar on Upstream withdrawal of water is economic disaster for Bangladesh on Saturday.
অর্থ উপদেষ্টা ডঃ সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। পানির ন্যয্য হিস্যা পেতে গ্যারান্টি ক্লজ সহ চুক্তি করতে হবে। তথ্যভিত্তিক শক্ত অবস্থান নিতে হবে। জনগন ঐক্যবদ্ধ আছে। ৫৪ নদীর ন্যয্য হিস্যা দিতে হবে। আমরা এই পাওনা বুঝে পেতে যা যা করা দরকার তা করব।
শনিবার উজানে নদীর পানি প্রত্যাহারঃ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় বিষয়ক এক সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পানি নিয়ে এ অঞ্চলে স্বেচ্চাচারিতা চলছে। ফেনি ও কুমিল্লার সাম্প্রতিক মারাত্মক বন্যা হয়েছে অসময়ে সতর্ক না করে ত্রিপুরায় গুমতি নদীর উপর স্থাপিত ডম্বুর জলাধার থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেবার কারণে।
অথচ শুষ্ক মওসুমে উজানে পানি প্রত্যাহার করে নিম্ন অববাহিকার দেশ বাংলাদেশে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করা হয়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন পানির সমস্যা তেলের সমস্যার চাইতেও বড়। এটা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে। নিম্ন অববাহিকায় অবস্থানের কারণে কাজ বাংলাদেশে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছিনা। অনেক কথা বলা হয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক বিভাজন আছে কিন্তু তারা মেকং নদী নিয়ে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য চুক্তি বজায় রেখে চলেছে।
আবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অনেক টানাপোড়েন থাকা সত্বেও সিন্ধু নিয়ে চুক্তি তারা বজায় রেখে চলেছেন।
ইউরোপে দানিউব নদী অববাহিকার দেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহার করে চলেছে। আমরা ন্যায্যভাবে পানি সমস্যার সমাধান পেতে চাই। তার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার। সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হবে।
একটা দুঃখের কথা হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচ শুকনো থাকে এবং মানুষ তা দেখতে যায়। এই দুঃসহ পরিবেশ ঠিক করতে না পারলে হবে না।
তিনি বলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শ সাম্য অমাদের আদর্শ। পানি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি যে সংগ্রামের পথ দেখিয়ে গেছেন বাংলাদেশের মানুষ তা থেকে সবসময় অনুপ্রেরণা গ্রহন করবে।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান আহমাদ গন অভ্যুথথানের কথা স্মরণ করে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সকল নদীর পানি প্রত্যাহার করলে বাংলাদেশ সাহারা মরুভুমিতে পরিনত হবে। বাচতে হলে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি ২০০৪ সালের লং মার্চের কথা উল্লেখ করে বলেন প্রয়োজনে আমাদের দাবী জাতিসংঘে তুলতে হবে।
দেশের সার্বভৌমত্ব সংহত রাখার স্বার্থে যুবকদের মিলিটারি ট্রেনিং দিতে হবে। তাহলে কোন দেশ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।
বিশেষ অতিথি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ বলেন নদী সমস্যার সমাধানে একটি বেসিন ভিত্তিক চুক্তি করা দরকার। দ্বিপাক্ষিক ভাবে সমস্যার সমাধান না হলে তা জাতিসংঘে নিয়ে যেতে হবে। দেশের সকল সমস্যার সমাধানে সবাই মিলে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার, সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, গুমতি নদীর বন্যায় ফেনী ও কুমিল্লায় ক্ষতির পরিমান প্রাথমিক হিসেবে ১৪০ বিলিয়ন টাকা বলা হয়েছে। এই নিরিখে গংগা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র মেঘনা সহ ৫৪টি যৌথ নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রনের ফলে বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমান এক লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু সাঈদ শাহীন, আইএফসি, জামালুদ্দিন জামিল, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কাজী মোস্তফা কামাল, সাম্যবাদি দল, ডঃ আবু ইউসুফ সাইফ, সদস্য সচিব, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ডঃ নাইম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক,ডঃ নাজমা আহমাদ, সহ সভাপতি, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশ; শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আহবায়ক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ।