News update
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ on Thursday     |     
  • Rice traders refuse to unload cargo for high duty at Hili     |     
  • Malnutrition Claims 100 Young Lives in Gaza, Says UNRWA     |     
  • Hunger and Bombs Ravage Besieged Civilians in Sudan’s El Fasher     |     
  • Loan defaulters won’t be allowed in nat’l polls: Salehuddin     |     

বাংলাদেশের পানি সমস্যা জাতিসংঘে উত্থাপনের দাবি জাতীয় নেতৃবৃন্দের

পানি 2025-05-16, 9:11pm

img-20250516-wa0057-01-e9717d2322e099b392e2a427ce5d1a231747408279.jpeg

Dr. Moyeen Khan, member BNP standing committee addressing a mass rally at the Central Shaved Minar on Friday. It was organized by IFC Bangladesh .



ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫ঃ আজ ফারাক্কা লংমার্চ দিবসে আয়োজিত এক গণসমাবেশে জাতীয় নেতারা বাংলাদেশের পানি সমস্যা জাতিসংঘে উত্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৬ মে এ লংমার্চের আয়োজন করে গঙ্গা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। 

Mass rally organised by Bangladesh International Farakka Committee at Central Shaheed Lunar on Friday.

নদীসৃষ্ট বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি যৌথ নদীর কোনটিরই পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও। সকল নদীর উজানে বাধ বা জলাধার নির্মান করে পানি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কারনে বাংলাদেশে মারাত্নক পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। 

নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) সহযোগিতায় আইএফসি বাংলাদেশ আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এ গণসমাবেশে বলা হয়, গ্যারান্টি ও মধ্যস্থতার ধারাবিহীন স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩০ বছরের গংগা গোলামী চুক্তি আগামী বছরের ডিসেম্বরে তামাদি হবে। তার আগেই সম্মত পরিমান পানি প্রাপ্তির গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজসহ এই চুক্তি নবায়ন করা জরুরী।

অন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি ২০১১ সালে স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ১৪ বছর ধরে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।শুষ্ক মওসুমে এ নদীর পুরো প্রবাহ পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে শুকিয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, বর্ষায় এ নদীর পাহাড়ী ঢলের সব পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে কয়েক দফা সর্বনাশা কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি করা হয়। এতে ভেসে যায় বসতভিটা ফসল।

বাকি ৫২টি যৌথ নদীর প্রত্যেকটার উজানে বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়ার কারণে বর্ষা মওসুমে দেশের এক তৃতীয়াংশে স্বাভাবিক বাৎসরিক প্লাবন বন্ধ হয়ে জলজ জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্লাবন ভূমিতে উৎপন্ন শাপলা, শালুক, শেওলা ও দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। স্বাভাবিক প্লাবন না হওয়ার প্লাবনভূমির জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ড. আবদুল মঈন খান, সদস্য বিএনপি স্থায়ী কমিটি বলেন বাংলাদেশের পারিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধনকারী ফারাক্কা বাধ বন্ধ করে দেয়ার দাবি তুলতে হবে কারণ এবাধ গুড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়। ভারতের বিহারেও এবাধ বন্ধ করে দেবার জোর দাবি উঠেছে।

তিনি বলেন ফারাক্কা বাধ বাংলাদেশে মারাত্নক মরুকরণ, লবনাক্ততা ও পলি সমস্যার সৃষ্টি করেছে এবং এতে পরিবেশগত বিপর্যয় ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। আইএফসি বাংলাদেশ এর সভাপতি সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইএফসি নিউইয়র্ক চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বিএসডি) নেতা খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

এদিকে শুষ্ক মওসুমে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় শত শত নদী, শাখা নদী মরে গেছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম উপকূলে মিঠা পানির প্রবাহ না থাকায় মূল ভূখন্ডের ২০০ কিলোমিটারের বেশী অভ্যন্তরে লবনাক্ততা ঢুকে পড়ে কৃষি, শিল্প, মৎস, বৃক্ষ ও পশু সম্পদের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে। উপকুলের পানিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সুন্দরবনের দামী সুন্দরী গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সর্বোপরি, হাজার বছর ধরে নদী-গঠিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ বাংলাদেশ, তার পরিবেশ ও প্রতিবেশ স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না আসায় ধ্বংস হতে চলেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক অস্তিত্বের সংকট। এ অবস্থা দেখে বিদেশী পরিবেশবিদরা বলেন, তারা বুঝতে পারছেন না, বাংলাদেশ কেন চিৎকার করে কাঁদেনা।

বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার নিশ্চয়তার বিনিময়ে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য দাবি বিসর্জন দিয়ে প্রতিবেশী ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে গেছে। এই অবস্থার অবসান দ্বিপাক্ষিক কুটনীতির মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের পানি সমস্যার সমাধান পেতে হলে তা জাতিসংঘে উত্থাপন করতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

 

ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫ঃ আজ ফারাক্কা লংমার্চ দিবসে আয়োজিত এক গণসমাবেশে জাতীয় নেতারা বাংলাদেশের পানি সমস্যা জাতিসংঘে উত্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৬ মে এ লংমার্চের আয়োজন করে গঙ্গা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। 

নদীসৃষ্ট বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি যৌথ নদীর কোনটিরই পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও। সকল নদীর উজানে বাধ বা জলাধার নির্মান করে পানি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কারনে বাংলাদেশে মারাত্নক পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। 

নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) সহযোগিতায় আইএফসি বাংলাদেশ আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এ গণসমাবেশে বলা হয়, গ্যারান্টি ও মধ্যস্থতার ধারাবিহীন স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩০ বছরের গংগা গোলামী চুক্তি আগামী বছরের ডিসেম্বরে তামাদি হবে। তার আগেই সম্মত পরিমান পানি প্রাপ্তির গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজসহ এই চুক্তি নবায়ন করা জরুরী।

অন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি ২০১১ সালে স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ১৪ বছর ধরে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।শুষ্ক মওসুমে এ নদীর পুরো প্রবাহ পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে শুকিয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, বর্ষায় এ নদীর পাহাড়ী ঢলের সব পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে কয়েক দফা সর্বনাশা কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি করা হয়। এতে ভেসে যায় বসতভিটা ফসল।

বাকি ৫২টি যৌথ নদীর প্রত্যেকটার উজানে বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়ার কারণে বর্ষা মওসুমে দেশের এক তৃতীয়াংশে স্বাভাবিক বাৎসরিক প্লাবন বন্ধ হয়ে জলজ জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্লাবন ভূমিতে উৎপন্ন শাপলা, শালুক, শেওলা ও দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। স্বাভাবিক প্লাবন না হওয়ার প্লাবনভূমির জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ড. আবদুল মঈন খান, সদস্য বিএনপি স্থায়ী কমিটি বলেন বাংলাদেশের পারিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধনকারী ফারাক্কা বাধ বন্ধ করে দেয়ার দাবি তুলতে হবে কারণ এবাধ গুড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়। ভারতের বিহারেও এবাধ বন্ধ করে দেবার জোর দাবি উঠেছে।

তিনি বলেন ফারাক্কা বাধ বাংলাদেশে মারাত্নক মরুকরণ, লবনাক্ততা ও পলি সমস্যার সৃষ্টি করেছে এবং এতে পরিবেশগত বিপর্যয় ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। আইএফসি বাংলাদেশ এর সভাপতি সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইএফসি নিউইয়র্ক চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বিএসডি) নেতা খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

এদিকে শুষ্ক মওসুমে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় শত শত নদী, শাখা নদী মরে গেছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম উপকূলে মিঠা পানির প্রবাহ না থাকায় মূল ভূখন্ডের ২০০ কিলোমিটারের বেশী অভ্যন্তরে লবনাক্ততা ঢুকে পড়ে কৃষি, শিল্প, মৎস, বৃক্ষ ও পশু সম্পদের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে। উপকুলের পানিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সুন্দরবনের দামী সুন্দরী গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সর্বোপরি, হাজার বছর ধরে নদী-গঠিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ বাংলাদেশ, তার পরিবেশ ও প্রতিবেশ স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না আসায় ধ্বংস হতে চলেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক অস্তিত্বের সংকট। এ অবস্থা দেখে বিদেশী পরিবেশবিদরা বলেন, তারা বুঝতে পারছেন না, বাংলাদেশ কেন চিৎকার করে কাঁদেনা।

বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার নিশ্চয়তার বিনিময়ে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য দাবি বিসর্জন দিয়ে প্রতিবেশী ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে গেছে। এই অবস্থার অবসান দ্বিপাক্ষিক কুটনীতির মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের পানি সমস্যার সমাধান পেতে হলে তা জাতিসংঘে উত্থাপন করতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।